করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার পর জ্বরে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়েছেন।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টিকা নেয়ার পর উনি শরীরে ব্যথা অনুভব করেন। রাতের মধ্যেই তার জ্বর চলে আসছিল। তবে এখন সুস্থ আছেন, জ্বর নেই। আমি দেখে এসেছি।’
গত এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে গিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেন খালেদা জিয়া। তাকে দেয়া হয়েছে মডার্নার টিকা।
ঈদের দিন তার সঙ্গে দেখা করে এসে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার নেত্রীর জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানান। সেদিন তিনি বলেন, ‘এমনিতেই কোভিড-পরবর্তী সময়ে ম্যাডাম মোটামুটি ভালো আছেন। তবে করোনার টিকা নেয়ার পর ওনার শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে।’
দুই দিন পর শুক্রবার জানতে চাইলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বোন সেলিমা ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যেহেতু ওই বাড়িতে যাওয়া-আসা নিয়ে একটা নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই সব সময় সেভাবে খোঁজ রাখতে পারি না। তার ডাক্তাররাই সর্বক্ষণ নজরদারিতে রেখেছেন। ঈদের দিনের তার জ্বর ছিল। তবে শুনেছি এখন আর জ্বর নেই৷ তরল রকমের খাবারও খেতে পারছেন। মোটামুটি সুস্থই আছেন।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো তো সাময়িক। তবে তার আগে থেকেই যেসব সমস্যা শরীরে বেঁধে আছে, সেগুলো গুরুতর। যার জন্য আমরা চাইলাম বিদেশে নেয়ার জন্য। সরকার তো অনুমতি দিল না।’
কেবল করোনার নয়, যেকোনো টিকা দিলেই মানুষের জ্বর আসতে পারে। একে সাধারণ একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেই দেখা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের প্রধান এ বি এম আব্দুল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টিকা নেয়ার পর স্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে জ্বর এবং টিকা নেয়ার স্থানে একটু ব্যথা অনুভব করে, এটা স্বাভাবিক।’
টিকা নেয়া ছাড়া অন্য কোনো কারণে জ্বর আসতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি তো ওনার চিকিৎসায় নেই। এ মুহূর্তে বলতেও পারব না কী ধরনের রোগ আছে। ওনার চিকিৎসা যারা করাচ্ছেন, সেই চিকিৎসের কাছে জানতে পারেন।’