বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তারেক কেন ফিরছেন না: কাদের

  •    
  • ২২ জুলাই, ২০২১ ১৫:২৪

‘তারেক রহমান একজন দণ্ডিত আসামি, যদি নির্বাসনে মনে করেন, তাহলে তিনি দেশে কেন ফিরে আসছেন না?’ তারেক রহমান নির্বাসনে নাকি মুচলেকা দিয়ে দেশত্যাগ করেছেন, সেটা বিএনপি নেতারা জানেন কি?

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কেন দেশে ফিরছেন না, সেটি জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি নেতা নির্বাসনে আছেন বলে দলটির অন্য নেতাদের দাবির জবাব দিতে গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকার সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

ঈদের দিন বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে গিয়ে দাবি করেন, তারেক রহমান এখন যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে আছেন।

জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারেক রহমান একজন দণ্ডিত আসামি, যদি নির্বাসনে মনে করেন, তাহলে তিনি দেশে কেন ফিরে আসছেন না?’

তারেক রহমান নির্বাসনে নাকি মুচলেকা দিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন, সেটা বিএনপি নেতারা জানেন কি না, সে প্রশ্নও ছুড়ে দেন কাদের। বলেন, ‘জনগণকে বোকা বানানোর দিন এখন আর নেই।’

২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তারের এক বছর পর প্যারেলে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। তার সাময়িক মুক্তি ও জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি ফেরেননি।

বিদেশে যাওয়ার দিন তারেক রহমান পাঁচ বছর রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছিলেন বলে সে সময় গণমাধ্যমে এসেছিল।

এর মধ্যে বিদেশে অর্থ পাচারের দায়ে তার ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তির মামলায় তার দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে বহুবার বলা হয়েছে, তারেক রহমান সময় হলেই ফিরবেন। কিন্তু সেই সময় কবে সেটি বলা হচ্ছে না। এর মধ্যে গণমাধ্যমে খবর এসেছে যে, বিএনপি নেতা যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন।

বিএনপিতে তারেকের মূল পদ সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হলেও ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়।

খালেদার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি রাজনীতিতে

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত ওয়ার পর মুক্তি পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি নেতারা রাজনীতি করছেন বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

খালেদা জিয়া ২০২০ সালের ২৫ মার্চ কারাগার থেকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান দুই শর্তে। ১. তিনি দেশে থেকেই চিকিৎসা নেবেন, ২. তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

তবে গত ১১ এপ্রিল বিএনপি নেত্রীর করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর তার স্বজনরা তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। সরকার সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করার পরেও বিএনপি নেতারা বিদেশে যেতে দেয়ার সুযোগ দাবি করছেন।

গত ১৯ জুলাই করোনার টিকা নেয়া বিএনপি নেত্রীর জ্বর এসেছে বলে জানিয়েছেন ফখরুল। ঈদের দিন তার সঙ্গে দেখা করে এসে আবার তাদের নেত্রীকে দেশের বাইরে নেয়ার সুযোগ দাবি করেন তিনি।

কাদের বলেন, ‘বেগম জিয়ার মামলা ও চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি নেতারা একধরনের রহস্যময় আচরণ করছেন, তার মুক্তি ও চিকিৎসার চেয়ে রাজনীতি করতেই তারা বেশি আগ্রহী।

‘বেগম জিয়াকে আপনারা নিজ নিজ পদ রক্ষার জন্য দাবার ঘুঁটি বানাবেন আর দায় চাপাবেন সরকারের ওপর, তা হতে পারে না।’

মানবিক আচরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসা ও বয়সের কথা বিবেচনায় নিয়ে ঘরে চিকিৎসার সুযোগ করে দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন কাদের। বলেন, ‘তাই বিএনপি নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।’

দলটির রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও সৌজন্যতা নেই বলেই পবিত্র ঈদের দিনেও সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে বলেও মন্তব্য করেন কাদের।

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো আছে বলেই বিএনপির গায়ে জ্বালা বাড়ছে। নির্বাচন ও আন্দোলনে বারবার পরাজিত বিএনপি নেতারা এখন মিডিয়ায় বক্তব্য বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ।’

দেশে গণতন্ত্র নেই বলে মির্জা ফখরুলের দাবিকে ভিত্তিহীন বলেও উড়িয়ে দিয়েছেন কাদের। তিনি বলেন, ‘এসব পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। গণতন্ত্র একটি বিবর্তনমূলক প্রক্রিয়া, রাতারাতি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না বরং বিএনপিই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পদে পদে বাধা দিচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর