বিএনপি নেতাদের অপপ্রচার সত্ত্বেও করোনা প্রতিরোধী টিকা গ্রহণ করে দেশের জনগণের মতো খালেদা জিয়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখায় তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ঢাকার সরকারি বাসভবন থেকে মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনকে এ ধন্যবাদ জানান সরকারদলীয় শীর্ষস্থানীয় এই নেতা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শুরু থেকে বিএনপি নেতারা নানা অপপ্রচার চালালেও শেষ পর্যন্ত বেগম জিয়াও ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে আস্থা রেখেছেন। এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।’
দেশে করোনা প্রতিরোধী টিকার সরবরাহ প্রতিনিয়তই বাড়ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সকল অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণ করে দেশে একের পর এক ভ্যাকসিনের চালান আসছে, বাড়ছে সরবরাহ। গণটিকাদানের বয়সসীমা কমিয়ে এর আওতা বাড়ানো হয়েছে।’
টিকার সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়য়সীমা আরও কমিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে দেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। সরকারও শুধু এ টিকার ওপর নির্ভর করছিল। সিরাম থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা আনার জন্য চুক্তিও করে সরকার।
দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশকে আর টিকা দিতে পারছে না সিরাম। টিকা সংকটের কারণে মাঝে দিয়ে দেশে বন্ধ হয়ে যায় গণটিকা কার্যক্রম।
ফলে টিকার বিকল্প উৎসের সন্ধানে নামে সরকার। এসব চেষ্টার অংশ হিসেবে চীন থেকে এরই মধ্যে টিকা আসা শুরু হয়েছে। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকেও টিকা আনার চেষ্টা চলছে। এতে আবার শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম।
ভারতের সিরাম থেকে কেনা টিকার বাকি ডোজগুলোও দ্রুত আসবে বলে জানালেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘ভারত সরকার প্রতিশ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহে আবারও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের শতভাগ আস্থা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংকট ও দুর্যোগে তার দূরদর্শিতা ইতোমধ্যেই পরীক্ষিত।’
সংকট সামনে এলে জনমানুষের কল্যাণে শেখ হাসিনা ঝাঁপিয়ে পড়েন বলে দাবি ওবায়দুল কাদেরের। এসব ক্ষেত্রে বিএনপি নেতাদের চরিত্র পলায়নপর বলে জানান তিনি।
কাদের বলেন, ‘কথামালার ভাণ্ডার নিয়ে বিএনপি নেতারা সংকট দেখলে পালানোর পথ খোঁজেন এবং জনগণ থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করেন।’