শোকের মাস আগস্টে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সকালে নিজ বাসভবনে নিয়মিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।
কাদের বলেন, ‘এবারের শোকের মাসের প্রধান কর্মসূচি হচ্ছে অসহায়, খেটে খাওয়া, দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। বঙ্গবন্ধু আজীবন গণমানুষের রাজনীতি করেছেন, তাই শোকের এ মাসে সাহায্যসামগ্রী নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। তাই দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
এ সময় সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়া আলোচনা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, মসজিদ-মন্দির-গীর্জা- প্যাগোডায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শোকের মাসের কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গ্রামে গ্রামে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে শহর থেকে ভাইরাস বহন করে গ্রামে নিয়ে যেতে পারেন এতে গ্রামের মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। এ অবস্থায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং ভীড় এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
‘এ অবস্থায় সবাইকে শতভাগ মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কোনরূপ শৈথিল্যও দেখানো যাবে না’, বলেন তিনি।
এ সময় মহাসড়ক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ মহাসড়কে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করলেও ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে টঙ্গী-গাজীপুর অংশে নির্মাণ কাজের কারণে সংকুচিত হওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে।
‘উত্তরবঙ্গগামী পণ্যবাহী যানবাহনগুলোকে আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা হয়ে চলাচল করলে টঙ্গী-গাজীপুর অংশে যানবাহনের চাপ কমে যাবে,’ মন্তব্য করেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘হালকা বর্ষণ ও মহাসড়কে ধীরগতির জন্য এবং কোরবানির পশুবাহী যানবাহনের কারণে কোথাও কোথাও চলাচলে ধীরগতি রয়েছে। এমতাবস্থায় হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দক্ষতার সঙ্গে পরিবহন ও মহাসড়ক ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
‘যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অনেক পরিবহন নিয়ম ও শর্ত মেনে চলছে না। পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, নিয়ম মেনে যাত্রী পরিবহন করতে হবে। তা না হলে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’