ঐক্য ফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সংসদ।
মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
বৈঠকের পর দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘দেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে তখন কিছু জনভিত্তিহীন রাজনৈতিক দল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ড. কামালের মতো মানুষরা, বিদেশে বার্গম্যানরা, তারেক রহমানরা সব গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।’
‘ড. কামাল হোসেনরা যখন ছবক দেয় তখন তারা ভুলে যেতে চান এই কামাল হোসেনরাই কালো টাকাকে সাদা করেছেন। এই নির্লজ্জ কাজটি তিনি করেছিলেন। আমরা সতর্ক করতে চাই, যারা ওৎ পেতে আছেন, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, যারা আবার ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান, দেশে অপরাজনীতি করতে চান—তাদের বলতে চাই আমরা সতর্ক; ছাত্রলীগসহ আমরা সতর্ক। আমরা দাঁতভাঙা জবাব দেবো। দেশ এগিয়ে যাওয়ার পথে যে কোনো বাধা ভেঙে এগিয়ে যাবো।’
বৈঠকের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘করোনার মধ্যে নেত্রীর কিছু নির্দেশনা তাদের (ছাত্রলীগ) কাছে পৌছে দিতেই এ আয়োজন। ছাত্রলীগকে গতিশীল করতে, তারা যেন আরও মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে।’
‘এর বাইরেও কিছু সাংগঠনিক কিছু কথা হয়েছে। তাদের যে দুর্বলতার দিকগুলো রয়েছে তারা যেন এগুলো কাটিয়ে উঠতে পারে, তাদের আরও কী ভাবে গতিশীল করা যায় এ বিষয়ে কথা হয়েছে।’
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘করোনার মধ্যেও ছাত্রলীগ মানবিক চরিত্র ধারণ করে মানুষের পাশে ছিল। এই ধারাবাহিকতাকে সামনে রেখে, দরিদ্র মানুষ যারা দিন আনে দিন খায়, তারা যেন ক্ষুধায় কষ্ট না পান তা নিশ্চিত করেত তাদের সহযোগিতা করবে ছাত্রলীগ।
‘করোনায় খাদ্য সামগ্রী মানুষের বাসায় পৌছে দেবে। মানুষকে আরও সতর্ক করার কাজও তারা করবে।’
নাছিম বলেন, ‘আগামী ২৩ জুলাই থেকে যে কঠোর লকডাউন তাতে যেন সব মানুষ সরকারকে সহযোগিতা করে। সকলকে সচেতন করার দায়িত্ব তারা (ছাত্রলীগ) পালন করবে।’
‘এরপর শোকের মাস, এ সময় তারা সারা দেশে মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। মানুষের পাশে ছাত্রলীগ দাঁড়াবে। এরই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এখানে কথা বলেছি। এছাড়া করোনায় যে কোন অপরাজনীতি প্রতিহত করতেও তারা মাঠে থাকবে।’