বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের দায় আমলাদের: জাফরুল্লাহ

  •    
  • ১৩ জুলাই, ২০২১ ১৮:০৪

‘গণতন্ত্রের প্রতি সরকারের ন্যূনতম আস্থা নাই। যদি আস্থা থাকত, তাহলে একজন সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ কিংবা সাংবাদিক অথবা বুদ্ধিজীবীর সমন্বয়ে এই তদন্ত কমিটি গঠন করত। যারা নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিতেন।’

রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের দায় আমলাদের বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বহু শ্রমিকের প্রাণহানি এবং সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এই ‘নাগরিক সংবাদ সম্মেলনের’ আয়োজন করা হয়।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর পরিচালনায় ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফাত।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের ফ্যাক্টরি পরিদর্শক যে বিভাগ আছে তারা কী করেছে? তাদের তো উচিত ছিল ওই ফ্যাক্টরিতে সব নিয়ম মানা হয়েছে কি না, তাদের লাইসেন্স আছে কি না এবং ফায়ার এক্সিট আছে কি না, সর্বোপরি ফ্যাক্টরি চালানোর অনুমোদন আছে কি না- এসব দেখা।

‘সব থেকে মজার ব্যাপার হলো, এই অগ্নিকাণ্ড যাদের অবহেলায় হয়েছে এবং যারা এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পরোক্ষভাবে দায়ী, তাদেরই জয়েন সেক্রেটারিকে এই ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এই তদন্ত কিমিটির থেকে আমরা কী আশা করতে পারি?’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রতি সরকারের ন্যূনতম আস্থা নাই। যদি আস্থা থাকত, তাহলে একজন সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ কিংবা সাংবাদিক অথবা বুদ্ধিজীবীর সমন্বয়ে এই তদন্ত কমিটি গঠন করত। যারা নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিতেন।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এত বড় ট্র্যাজেডি ঘটার আগে কেউ দেখে না। যখন খবর এসে যায় তখন আমাদের সরকার বলে ওমুকের দোষ, তমুকের দোষ। একজন আরেকজনকে দুষছেন।’

নারায়ণগঞ্জের রূপঞ্জের অগ্নিকাণ্ডে কতজনের প্রাণহানি হয়েছে, তা যথার্থভাবে প্রকাশ করা দাবি জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রত্যেক মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’

পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের একটা মানদণ্ড তৈরির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্ষতিপূরণের যে মানদণ্ড আছে তা পরিবর্তন হওয়া দরকার। ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হবে কোনো শ্রমিক যদি কর্মক্ষেত্রে মারা যান, তাহলে তার একজীবনের আয়ের সমান। মৃত্যুকালীন বয়স থেকে স্বাভাবিক নিয়মে অবসরের সময়কাল পর্যন্ত শ্রমিকের সম্ভব্য যে আয়, সেই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেন, ‘এই সরকার পরিকল্পিতভাবে নাগরিকদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। করোনাকালে যাদের প্রাণ চলে গেছে, এটাকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করা যায়। যার জন্য সরকার দায়ী থাকবে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে করোনাকালে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন বেড়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর