নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া হাশেম ফুড লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শনে যাওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ছবি তোলার সময় পাশে দাঁড়ানো নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে।
কারখানার মূল গেটের বাইরে মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দুটি গ্রুপ এই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু নিউজবাংলাকে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির নজরুল ইসলাম খানসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে ছবি তোলা নিয়ে রূপগঞ্জ বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া গ্রুপের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে হাশেম ফুড লিমিটেডের কারখানায় আগুন লাগে। শুরুতে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরের দিন উদ্ধার করা হয় ৪৯ জনের মরদেহ। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২ জনে।
বেশির ভাগের মরদেহই পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্তের জন্য স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।
বৃহস্পতিবার আগুন লাগলেও শুক্রবার রাতের আগে পুরোপুরি আগুন নেভানো যায়নি।
আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় লাগার কারণ মনে করা হচ্ছে কারখানার প্রতি ফ্লোরে মজুত করা দাহ্য পদার্থ। ছিল বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক, যা আগুন আরও ছড়িয়ে যেতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।
এ ঘটনায় ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন মজুমদার শনিবার বেলা দুইটার দিকে চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ পর্যায়ের আট কর্মকর্তার নামে হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর তাদের আদালতে তোলা হলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফাহমিদা খাতুন প্রত্যেককে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।