প্রতি বছরই ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দিনকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপি নানা আয়োজন করে থাকে আওয়ামী লীগ। এ বছর সেসব কর্মসূচিতে কাটছাঁট এনে সীমিত পরিসরে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। শোকের মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি কমিয়ে ব্যপকহারে মানবিক কর্মসূচি চালাতে চায় তারা।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলোচনা করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বৈঠকে উপস্থিত নেতারা জানান, করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া এবং কঠোর লকডাউন পরিস্থিতিতে শোকাবহ আগস্টে দলের চলমান মানবিক কর্মসূচি আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংকটময় এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার পাশাপাশি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
নেতারা বলছেন, করোনাভাইরাসের এই সংকটে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই দলের একমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্র মধ্য দিয়ে শোকাবহ আগস্ট পালন করবে অতীতের মতো করে। তবে এবার কোভিড পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব কর্মসূচি পালিত হবে।’
‘দেশব্যাপী করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগস্টে দেশের মানুষের জন্য আরও বিস্তারিত কর্মসূচি নেয়ার চিন্তা করছে দল,’ জানান তিনি।
নানক বলেন, ‘করোনার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পযর্ন্ত আমাদের অনেক নেতা-কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে আমরা জীবনের ভয়কে জয় করে মানুষের কল্যাণে আত্মনিবেদন করেছি। আগস্টে সেই কর্মসূচির সঙ্গে আরও বিস্তৃত কর্মসূচির পরিকল্পনা করছি আমরা।’
আওয়ামী লীগের বৈঠক
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘শোকাবহ আগস্টে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, সীমিত আকারে আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর আলোকপাত, ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা এসব কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে আয়োজন থাকবে। তবে যাতে ব্যাপক গণজমায়েত না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি আছে আমাদের।’
‘শোকাবহ আগস্টে আমরা শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে বেশ কিছু কর্মকাণ্ড হাতে নেবো। করেনোয় মানুষের জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কাজ করছেন। এর সঙ্গে আরও বিস্তৃত আকারে মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করব আমরা। দেশের জন্য নিজেদের উজাড় করে দেবে প্রতিটি নেতা-কর্মী।’
এর পাশাপাশি ঈদের আগে দিনমজুর ও পরিবহন শ্রমিকের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যও আলাদা কর্মসূচি থাকবে বলে জানান তিনি। নাছিম বলেন, ‘কোনো মানুষ যাতে ক্ষুধায় কষ্ট না করেন সেই দিকে আমাদের দৃষ্টি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাকতে কেউ কষ্ট করবে না এটি আমরা নিশ্চিত করব।’