কর্মীদের ঝুঁকিতে রেখে যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে, রূপগঞ্জের দুর্ঘটনা তাদের জন্য একটি ‘সতর্কবার্তা’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দায়ী ব্যক্তিদের কেউ রেহাই পাবেন না, যোগ করেন তিনি।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে রোববার সকালে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির করোনা সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘রূপগঞ্জে আগুনের ঘটনায় সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান কর্মচারীদের ঝুঁকিতে রেখে ব্যবসা করছে, তাদের জন্য এ ঘটনা শিক্ষণীয় হতে পারে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।’
অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আওয়ামী লীগ দায় এড়াতে পারে না- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য নাকচ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করা বিএনপির স্বভাব। বজ্রপাতে কেউ মারা গেলে হয়তো তারা সরকারকেই দায়ী করবে।’
রূপগঞ্জে বৃহস্পতিবার রাতে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় আগুন লাগে। শুরুতে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরদিন উদ্ধার করা হয় ৪৯ জনের মরদেহ। বেশির ভাগ মরদেহই পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে, এখন পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।
ঘটনার পর শনিবার সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান, এমডিসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে হত্যা মামলা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘মানুষের অসাবধানতার জন্য করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। নিজের সুরক্ষার জন্য হলেও শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।
‘এখন কোনো রাজনীতি নয়, শুধু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষকে সহযোগিতা করাই এখন আওয়ামী লীগের একমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি। আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা রাজধানী থেকে গ্রাম পর্যন্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা টিকার কৃত্রিম সংকটের কথা বলেন, মিথ্যা হাহাকার করে রাজনীতি করছেন। ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। সব দিকে সরকারের নজর আছে।’
করোনার মধ্যে দলমতনির্বিশেষে সবাইকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষ যদি না থাকে তাহলে সংগঠন দিয়ে কী হবে।’