সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে আটকে রেখে বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছে দলটির স্থায়ী কমিটি। বিষয়টিকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করছে বিএনপির এই সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে গত শনিবার স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত জানাতে রোববার এসব কথা বলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জানান, সম্প্রতি যুক্তরাজ্য তাদের পার্লামেন্টে বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এবং চলমান নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক অবস্থা ও চরম অমানবিক আচরণসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে আটক রাখা এবং তার প্রতি অমানবিক আচরণের বিষয়টি প্রকাশ করেছে।
ফখরুল বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং জাতীয় মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশের কর্তৃত্ববাদী সরকারের জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ, সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুমের ঘটনা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মতামত প্রকাশ করেছে।
‘যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিবেদন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে তাকে আটক রাখা হয়েছে। এমনকি সুচিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। এটা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন’- বলেন ফখরুল।
খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক কারণে সব আটক ব্যক্তিকে মুক্তি প্রদানের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি সেমিনার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থায়ী কমিটি। এ জন্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির সভায় দলের মহাসচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।