নিজের ও মা বিদিশা এরশাদের কোনো ক্ষতি হলে চাচা জি এম কাদের দায়ী থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের ছেলে শাহাতা জারাব এরিক।
রাজধানীর বারিধারায় এরশাদের বাড়ি প্রেসিডেন্ট পার্কে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন এরিক।
তিনি বলেন, ‘আমি দেখছি যে, আমার মা বিদিশা এরশাদের বিরুদ্ধে আমার চাচা জি এম কাদের মিথ্যা নিউজ করাচ্ছে। আমার এবং আমার মা বিদিশা এরশাদের যদি কোনো ক্ষতি হয়, এটার জন্য দায়ী থাকবেন একমাত্র আমার চাচা জি এম কাদের।
‘আর আমি এ জন্য আমার চাচা জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন করছি।’
গত ২৬ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবে এইচএম এরশাদের এক স্মরণসভায় হয়। এতে দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সমালোচনা করেন এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিকী। এর পর থেকেই দলের বিভিন্ন স্তরে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।
ওই আলোচনার মধ্যেই দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে ‘বিদিশার দুই পুত্রের জন্ম একদিনে, বাবা দুজন!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে এলেন এরিক।
সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, ‘হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতা ছাড়ার পরও ২৭ বছর বেঁচে ছিলেন। উনার জীবদ্দশায় কেউ তার বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ করেননি। এরশাদের বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছিল, প্রত্যেকটিতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিল। আজ কেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে?
‘আপনারা হয়তো জানেন, কিছুদিন আগে আমরা প্রেসক্লাবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের একটি স্মরণসভা করেছিলাম। সেই সভায় আমরা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের (জি এম কাদের) ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছি। যখনই আমরা পার্টির চেয়ারম্যানের ব্যর্থতার প্রশ্নে নিয়ে কথা বলেছি, তখনই এই যে যত নিউজ হয়েছে এরশাদ, এরিক ও বিদিশাকে কেন্দ্র করে। আপনারা একটু তদন্ত করলেই পেয়ে যাবেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নিউজ জাতীয় পার্টির ফেসবুক পেজে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ওই পেজ থেকেই ওই নিউজগুলোর প্রচার-প্রচারণা হচ্ছে। সারা বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা বিশ্বাস করে এবং বাংলাদেশের সকল মানুষ বিশ্বাস করে এই নিউজ ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের জড়িত এবং নিউজের মধ্যে যাকে কোট করা হয়েছে গোলাম রেজা, এরশাদ সাহেবের সময় গোলাম রেজাকে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল; তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের সন্তান যাকে বুকে নিয়ে তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছিলেন, এরশাদের জীবদ্দশায় কেউ এরিকের জন্ম নিয়ে প্রশ্ন করেনি। আজকে এরশাদের মৃত্যুর পরে সারা জাতি বুঝতে পেরেছে এই ষড়যন্ত্র।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালি নিউজবাংলাকে বলেন, এরিক যে অভিযোগ করেছেন, তার সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কোনো যোগসূত্র নেই। এ বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না।