কর্মহীন মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সংসদ।
বুধবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনির্ধারিত বৈঠকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে চলমান লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কর্মহীন মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে সারাদেশে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য দলীয় নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কেউ যেন খাবারের কষ্ট না পায়, সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সর্বাত্মক ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশ প্রতিপালনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে ত্রাণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি নিশ্চিত করার নির্দেশনাও দেয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, আফজাল হোসেনসহ অন্য নেতা-কর্মীরা।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘সামনে যতই সংকট আসুক, আওয়ামী লীগ সরকার শক্তহাতে তা মোকাবিলা করবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের তিনি যে স্বপ্ন দেখিয়ে গিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন পূরণ হবে।’
‘এইজন্য দেশের সব নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানাবো তারা যেন ছিন্নমূল অসহায় এবং গরীব দুঃখী মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়। তবে এক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশে চলমান লকডাউন মেনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সারাবিশ্ব যখন করোনায় আক্রান্ত তখন মুখ থুবড়ে পড়েছিল, বাংলাদেশও তার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল না। বাংলাদেশও এই মরণব্যাধি করোনায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু মানবতার সফল নেত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বাংলাদেশে জীবন এবং জীবিকা উভয়কে একইসঙ্গে পরিচালনা করে, সঠিক ভূমিকা পালন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
‘শুধু সরকারই নয়, দলগতভাবেও আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে’, যোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক একজন মানুষকেও আমরা না খেয়ে কষ্ট পেতে দিবো না। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং দেশের চলমান লকডাউন মেনে দেশের তৃণমূল পর্যায়ের অসহায় দুস্থ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে হবে।’