বিএনপিকে দুরবিন দিয়ে না খুঁজে জনগণের জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান দলটির দপ্তরের চলতি দায়িত্বে থাকা এমরান সালেহ প্রিন্স।
প্রিন্স বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীরা তাদের ব্যর্থতা আড়াল করতে প্রতিদিনই বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন।
‘তারা নাকি দুরবিন দিয়ে বিএনপিকে খুঁজে পাচ্ছেন না, বিএনপি নাকি মিথ্যাচার করছে—এসব কথা বলে তারা দেশের যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তা থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেয়ার অপচেষ্টা করছেন। এসব অযৌক্তিক ও অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ সময়ে জনগণের জীবন নিয়ে চিন্তা না করে মশকরা করছেন, তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও মাউথ ল্যাঙ্গুয়েজে সেটাই ফুটে উঠছে।’
প্রিন্স আরও বলেন, ‘সরকারের বাকপটু মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলতে চাই, বিএনপিকে দুরবিন দিয়ে খোঁজার প্রয়োজন নেই। বিএনপি জনগণের প্রয়োজনে পাশে আছে।
‘বিএনপিকে না খুঁজে, পরিহাস বন্ধ করে জনগণকে বাঁচানোর জন্য টিকা, অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, খাদ্য, অর্থ নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান। তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করুন। আপনাদের ব্যর্থতায় মানুষ প্রতিদিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। এই মৃত্যুর দায় মাথায় নিয়ে জনগণের কাঠগড়ায় আপনাদের দাঁড়াতেই হবে।’
প্রিন্স বলেন, ‘জনগণের এই চরম দুঃসময়ে বিএনপি জনগণের পক্ষে কথা বলার কারণে সরকারের লিপ সার্ভিস দেয়া মন্ত্রীরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আবার জেলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। খালেদা জিয়া এখনও মুক্ত নন, তিনি কার্যত এখনও বন্দী। বিভিন্ন শর্তের বেড়াজালে তার সুচিকিৎসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। বারবার জেল-জুলুমের ভয় দেখিয়ে বিএনপিকে জনগণের পক্ষে কথা বলা থেকে বিরত রাখা যাবে না।’
প্রিন্স বলেন, ‘সরকারের অপরিকল্পিত চলমান লকডাউনে বাংলাদেশের জনপদে নিরন্ন ও বুভুক্ষু মানুষের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
‘অবশ্যই এর দায় সরকারকেই বহন করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, সরকারের অব্যবস্থাপনা, ভ্রান্ত নীতি ও অবহেলা-উদাসীনতায় করোনা চিকিৎসায় যে সংকট দেখা দিয়েছে, অক্সিজেনের অভাবে প্রতিদিনই মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে, এই মৃত্যুর দায়ও সরকারকেই নিতে হবে।’