খালেদা জিয়ার জেলের বাইরে থাকা পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এর নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে, বেগম জিয়া আদালত থেকে জামিন না পাওয়া সত্ত্বেও তাকে যে মহানুভবতা দেখিয়ে কারাগারের বাইরে রাখা হয়েছে, মনে হচ্ছে সেটি আমাদের ভুল। এখন আবার সেটি পুণর্বিবেচনা করতে হবে, বেগম জিয়াকে আইন অনুযায়ী আবার জেলখানায় ফিরিয়ে দেয়া হবে কি না।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জিয়াউর রহমান অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্টদের নিয়ে দল গঠন করে রাজনীতি করেছেন। অর্থাৎ এই দলটির জন্মই হচ্ছে অবৈধ, যেটি হাইকোর্টও তাদের রায়ে বলেছে।’
‘মির্জা ফখরুল, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রিজভী আহমেদসহ বিএনপির প্রথম সারির নেতারা সবাই অন্য দল করতেন এবং ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্যেই বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সে কারণে এটি বলাতে তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আসলে বিএনপির সত্যটাকে মেনে নেয়া প্রয়োজন কারণ অসত্যের ওপর দাঁড়িয়ে বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। আমি মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলবো, আপনাদের নেতাদের একটু শালীনতা শেখান।’
‘প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ নির্বাচনের আগে বেগম জিয়াকে যখন ফোন করেছিলেন, তখন কেমন অশালীণ ভাষায় বেগম জিয়া কথা বলেছিলেন জনগণ সেটি দেখেছে। বেগম জিয়ার দ্বিতীয় পুত্র কোকোর মৃত্যুর পর সমবেদনা জানানোর জন্য তার বাড়িতে গিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী ২০ মিনিট দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কিন্তু বেগম জিয়া দরজা খোলেন নাই। যারা এমন অশালীন আচরণ করে তাদের মুখে শালীনতা শব্দ মানায় না।’
কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সদস্যের পদত্যাগের ঘটনাকে তিনি বিএনপি থেকে পলায়ন বলে অভিহিত করেন। তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘মির্জা সাহেব কয়দিন আগে পলায়ন শব্দ নিয়ে একটি কথা বলেছিলেন। এই পদত্যাগে মনে হচ্ছে, বিএনপি থেকে এখন পলায়ন শুরু হয়েছে। আর বিএনপি এক সময় একটা বহতা নদী ছিল। সে নদী এখন শুকিয়ে গেছে, মরে গেছে।
এ সময় বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস সংগঠনের সদস্যদের করোনা টিকাদানে অগ্রাধিকার, সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রটি সংস্কার ও সেখানে কয়েকটি কম্পিউটার প্রদান এবং প্রেস ইনস্টিটিউটে বিএসআরএফ সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার জন্য দাবি উপস্থাপন করেন। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সংকট সমাধানের আশ্বাস দেন।