বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিজেরা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে অন্যের মুখে ছাই নুরের

  •    
  • ৫ জুলাই, ২০২১ ০১:২৮

ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি আরও বলেন, ‘আসলে আমাদের মধ্যে একটি পদক্ষেপ নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। আমাদের ছাত্র যুব শ্রমিক পরিষদের নেতারা বসে সেটির সমাধান করেছেন৷ দাগ থেকে দারুণ কিছু হলে দাগই ভালো। সুতরাং তর্ক-বিতর্ক থেকে ভালো কিছু হলে তর্ক-বিতর্কই ভালো।’

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদে কর্তৃত্ব নিয়ে ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি নুরুল হক নুরের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খানের দ্বন্দ্বের অবসানের পর নুর বলেন, ‘ওদের মুখে ছাই পড়ুক যারা নুর-রাশেদের দ্বন্দ্ব দেখে অট্টহাসিতে মেতে উঠেছিল, যারা ভেবেছিল ছাত্র অধিকার পরিষদে ভাঙন ধরেছে, ছাত্র অধিকার পরিষদ তথা তরুণদের রাজনীতি ভ্যানিস হয়েছে।’

রোববার রাতে তিনি আরও বলেন, ‘এটি কখনো হবে না। আমরা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে রাজনীতি করছি, কোনো ব্যক্তিস্বার্থে নয়। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নানা ধরনের অভ্যন্তরীণ সংকট থাকে। রাজনীতি করতে গেলে মতপার্থক্য তৈরি হবেই। একটা পরিবারের মধ্যেও দ্বন্দ্ব থাকে৷’

এর আগে, রাশেদকে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নুর। তবে সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব আনতে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেটি চালু থাকবে।

আর রাশেদকে যে অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার সত্যতার প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার রাতে রাশেদকে বহিষ্কার করে একটি বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে পোস্ট করেন নুর। এতে তিনি নিজেকে বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের ‘সমন্বয়ক’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

নুরের এমন সিদ্ধান্তে রাশেদ চটেন। নুরকে দেন পাল্টা চিঠি। এতে কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা নিয়ে কারণ দর্শাতেও বলা হয়। তার যুক্তি, সংগঠনে ‘সমন্বয়ক’ বলে কোনো পদ নেই। নুর প্রকৃতপক্ষে যুগ্ম আহ্বায়ক। আর যুগ্ম আহ্বায়ক থেকে আহ্বায়ককে তিনি বহিষ্কার করতে পারেন না।

এই পাল্টাপাল্টি চিঠি নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে হঠাৎ ইউটার্ন নেন রাশেদ। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, তাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। এর অবসান হয়েছে।

এই উল্টো যাত্রার আগে দুই নেতার তিন ঘণ্টা বৈঠক হয় অনলাইনে। আর এতে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন নুর ও রাশেদ।

রাশেদ ফেসবুকে লেখেন, ‘দেশের মানুষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা বয়সে তরুণ, যে কারণে মাঝে মাঝে বক্তব্য, কথা, কাজের মধ্যে ভুল করে বসি। নুর ও আমার মধ্যে যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সুন্দর সমাধান হয়েছে।’

রোববার রাতে নুর বলেন, ‘আমাদের বয়সের ছেলেরা যখন চাকরি বা ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবছে তখন আমরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভাবছি। এ জন্য আমরা তরুণদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের চিন্তা করছি। মানুষ হিসেবে যতটুকু প্রেসার নেওয়ার কথা তার চেয়েও বেশি প্রেসার নিচ্ছি। সেখানে কাজ করতে গেলে মতবিরোধ থাকবেই। এটা সবচেয়ে ভালো দিক যে তর্ক-বিতর্কের পরেও আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

‘আমাদের মাঝে হওয়া দ্বন্দ্বকে কিছু মানুষ রসালোভাবে প্রচার করেছে যে, আমাদের মধ্যে টাকাপয়সার ভাগ-বাঁটোয়ারা, নেতৃত্বের অসম দ্বন্দ্ব নিয়ে সমস্যা হয়েছে।’

‘আসলে আমাদের মধ্যে একটি পদক্ষেপ নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। আমাদের ছাত্র যুব শ্রমিক পরিষদের নেতারা বসে সেটির সমাধান করেছেন৷

দাগ থেকে দারুণ কিছু হলে দাগই ভালো। সুতরাং তর্ক-বিতর্ক থেকে ভালো কিছু হলে তর্ক-বিতর্কই ভালো।’

এ সময় ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি আরও বলেন, ‘আগামী ৩০ জুলাই ছাত্র পরিষদের নতুন নেতৃত্ব বাছাই এবং ১৭ সেপ্টেম্বর যুব পরিষদের কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব বাছাই হবে৷ আশা করা যায়, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসবে।

‘আমাদের দলে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাংলাদেশের ঘুণে খাওয়া সমাজব্যবস্থায় চরম আঘাত হানা, যে আঘাত বঙ্গবন্ধু হানতে চেয়েছিলেন কিন্তু পারেননি। আমরা সে আঘাতের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনব।’

নুর আরও বলেন, ‘খুনোখুনি মারামারি হানাহানির রাজনীতির বিপরীতে জাতিকে আমরা শান্তি-সম্প্রীতির সহনশীলতার রাজনীতি উপহার দিতে চাই। কাজ করতে গেলে আমাদের ভুলভ্রান্তি হবে। সেগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷ তরুণ হিসেবে আমাদের কাজে আমরা সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। আমরা নিজেদের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা করি৷ গণতান্ত্রিকভাবেই সব সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি, সে কারণেই আমাদের কিছু মতবিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে। তবে সেগুলোরও আমরা সুন্দর সমাধান করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর