বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিরোধ জমিয়ে নুর-রাশেদের ইউটার্ন

  •    
  • ৪ জুলাই, ২০২১ ১৭:৫৫

‘দেশের মানুষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা বয়সে তরুণ, যে কারণে মাঝে মাঝে বক্তব্য, কথা, কাজের মধ্যে ভুল করে বসি। নুর ও আমার মধ্যে যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সুন্দর সমাধান হয়েছে।’

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদে কর্তৃত্ব নিয়ে ডাকসুর সাবেক সভাপতি নুরুল হক নুরের সঙ্গে রাশেদ খানের দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে।

রাশেদকে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নুর। তবে সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব আনতে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেটি চালু থাকবে।

আর রাশেদকে যে অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার সত্যতার প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

গত রাতে রাশেদকে বহিষ্কার করে একটি বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে পোস্ট করেন নুর। এতে তিনি নিজেকে বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের ‘সমন্বয়ক’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

নুরের এমন সিদ্ধান্তে রাশেদ চটেন। নুরকে দেন পাল্টা চিঠি। এতে কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা নিয়ে কারণ দর্শাতেও বলা হয়। তার যুক্তি, সংগঠনে ‘সমন্বয়ক’ বলে সংগঠনে কোনো পদ নেই। নুর প্রকৃতপক্ষে যুগ্ম আহ্বায়ক। আর যুগ্ম আহ্বায়ক থেকে আহ্বায়ককে তিনি বহিষ্কার করতে পারেন না।

এই পাল্টাপাল্টি নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে হঠাৎ ইউটার্ন নেন রাশেদ। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, তাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। এর অবসান হয়েছে।

এই উল্টো যাত্রার আগে দুই নেতার তিন ঘণ্টা দীর্ঘ বৈঠক হয় অনলাইনে। আর এতে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন নুর ও রাশেদ।

রাশেদ ফেসবুকে লেখেন, ‘দেশের মানুষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা বয়সে তরুণ, যে কারণে মাঝে মাঝে বক্তব্য, কথা, কাজের মধ্যে ভুল করে বসি। নুর ও আমার মধ্যে যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সুন্দর সমাধান হয়েছে।’

ভবিষ্যতে চলার পথে আরও বেশি সতর্ক থাকবেন জানিয়ে রাশেদ লেখেন, ‘নুর ও আমার মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুর দিন থেকে সুসম্পর্ক ছিল। ভবিষ্যতেও সম্পর্ক ধরে রেখে নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।’

দেশের মানুষকে তারা অভিভাবক মনে করেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভুল হলে অবশ্যই সমালোচনা করবেন, পরামর্শ দেবেন, যাতে শুধরিয়ে নিয়ে নিজেদের পরিপক্ব হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।’

সবার কাছে আবারও ক্ষমা প্রার্থনা করে তার বক্তব্য শেষ করেন রাশেদ খান।

অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি: নুর

সমঝোতার এই বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন নুরও। তার দাবি, যে অভিযোগে রাশেদকে বহিষ্কারের আদেশ দেয়া হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টা পরেই সেটির প্রমাণ মেলেনি।

আর জুম মিটিংয়ে সমঝোতা হওয়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কমিটি বিলুপ্তির যে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল, সেটিও তুলে নিয়েছেন তিনি।

নিউজবাংলাকে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, ‘বহিষ্কারাদেশ এবং কমিটি বিলুপ্তির বিষয়টি উইথড্র করা হয়েছে। রাশেদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটি প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই আমরা তার অব্যাহতি তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’

তবে নির্বাচন কমিশন এবং যে ডিসিপ্লিনারি বোর্ড যে গঠন হয়েছে সেটি থাকছে বলে জানান নুর। বলেন, ‘৩০ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে নতুন নেতৃত্ব বাছাই করে কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।’

রাশেদ জানান, এই ঘোষণা দেয়ার আগে তাদের মধ্যে তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে শিগগির নতুন রাজনৈতিক দলে ঘোষণা দেয়া হবে। এছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের নতুন কাউন্সিল দেয়া হবে। কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত তিনিই ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন।

রাশেদের বিরুদ্ধে নূরের যে অভিযোগ

আগের রাতে রাশেদেকে বহিষ্কার করে বিজ্ঞপ্তি দেয়ার বিষয়ে নুর জানান, রাশেদ সংগঠনে ভাঙনের চেষ্টা করছিলেন।

তিনি বলেন, “রাশেদ খান ‘কমল বড়ুয়া’ নামের একটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ খুলে সংগঠন ভাঙার চেষ্টা করছিল। সে সংগঠনের ত্যাগী নেতাদের নিয়ে নানা ধরণের বিভ্রান্তি এবং অপপ্রচারের জন্য একটা সংঘবদ্ধ গ্রুপ তৈরি করছি। এ অভিযোগে তাকে এবং সোহরাব হোসেনকে (যুগ্ম আহ্বায়ক) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।”

নুরের সঙ্গে গোয়েন্দা সংযোগের অভিযোগও আনেন তিনি। বলেন, ‘বিভিন্নভাবেই রানৈতিক দল ভাঙনে সরকারের গোয়েন্দাবাহিনী বা সরকারের ইন্ধন থাকে৷ আমরা যেহেতু সরকার বিরোধী জায়গা থেকে রাজনীতি করি আমাদের প্লাটফর্ম ভাঙনের জন্য এখানেও গোয়েন্দা বাহিনী জড়িত থাকতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর