করোনার দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ শুরুর পর বিএনপির নেতা-কর্মীদের দুরবিন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পাঁচজন নেতাসহ প্রায় ১ হাজার কর্মী করোনায় মারা গেছেন বলে জানান তিনি।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে রোববার সকালে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী। সেখানে দলের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, নীলফামারী, বগুড়াসহ কয়েকটি জেলার হাসপাতালের জন্য হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলাসহ করোনার সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনা মহামারির প্রথম দিকে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ফটোসেশন করেছে। এখন দ্বিতীয় ঢেউয়ে তাদের দুরবিন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
আওয়ামী লীগের মানবিক তৎপরতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জনগণের পাশে থাকতে গিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচজন নেতা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। বেশির ভাগ সদস্যই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, অনেকে একাধিকবার।
‘সারা দেশে আওয়ামী লীগের প্রায় ১ হাজার নেতা-কর্মী করোনায় মারা গেছেন। এরপরও নেতা-কর্মীরা মানুষের পাশে আছেন। দলের পক্ষ থেকে লাখ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ২ কোটি পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেয়া হয়েছে। এ সময় দেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দল মানুষের পাশে থাকেনি।’
বিএনপির সমালোচনায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নেতারা এখন শুধু খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য আর তাকে বিদেশ পাঠানোর বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা আছে বলে মনে হয় না।
‘দেশে অনেক এনজিও আছে, তারা ১০ জনকে কিছু দিয়ে ছবি তুলে সবাইকে দেখায়। বিদেশে বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছেও তা পাঠায়। আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ টক শোতে বসে সরকারের সমালোচনা করে। বিএনপি এবং এসব সংগঠনকে মানুষের পাশে দেখা যায় না। আওয়ামী লীগ থেকে অন্য রাজনৈতিক দলের শেখা উচিত।’
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘মানুষের দুর্দশা নিয়ে রাজনীতি করা অপরাধতুল্য। করোনা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাওয়া অপশক্তি বিএনপির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।’