বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা তো অপরাধ করেননি, ক্ষমা চাইবেন কেন: বিএনপি

  •    
  • ১ জুলাই, ২০২১ ১৮:১২

‘এগুলো সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিপ্রকাশ এবং রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রিত ও কলুষিত করার ব্যর্থ চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়। যিনি (খালেদা জিয়া) কোনো অপরাধই করেন নাই, তাঁর ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কেন রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন, সে প্রশ্ন তুলেছে তার দল।

আইনমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বক্তব্য রাখার পর দিন সংবাদ সম্মেলন করে এই প্রশ্ন তোলেন দেড় দশক ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকাঠামোর বাইরে থাকা দলটির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা এমরান সালেহ প্রিন্স।

তিনি বলেন, ‘চেয়ারপারসন তো কোনো অপরাধ করেননি। কাজেই তাঁর ক্ষমা চাওয়ারও কোনো প্রশ্ন নেই।’

বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে গণমাধ্যমের সামনে আসেন প্রিন্স।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে হাইকোর্ট তাকে দেয় ১০ বছরের দণ্ড। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

আইনি লড়াইয়ে বিএনপি ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপি নেত্রীর স্বজনরা উদ্যোগী হন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন তারা। আর সরকার প্রধানের নির্বাহী আদেশে দণ্ড ৬ মাস স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মুক্তি পান সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

এর পর দুই বার ছয় মাস করে বাড়ে সাময়িক মুক্তির মেয়াদ। এর মধ্যে গত এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হন বিএনপি নেত্রী। ২৭ এপ্রিল তিনি ভর্তি হন এভারকেয়ার হাসপাতালে।

করোনা থেকে তিনি সেরে উঠার পর পরিবার করে নতুন আবেদন। তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে সুযোগ দেয়ার অনুরোধ করে। তবে গত ৯ মে সরকার জানিয়ে দেয়, এটা সম্ভব নয়। এরপর জুনের শেষে খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন।

বিষয়টি নিয়ে আলোচনা নতুন করে শুরু হয় বুধবার আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি জাতীয় সংসদে বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলেই খালেদা জিয়ার বিদেশে যাত্রার পথ খুলতে পারে।

তবে এই ক্ষমা চাওয়া বিএনপি নেত্রীর জন্য বিব্রতকর হবে। কারণ, ক্ষমার আবেদনে দোষ স্বীকার করে নিতে হয়। এটা তিনি করলে তার রাজনৈতিক অবস্থানই প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।

এমরান সালেহ্ প্রিন্স আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ‘এগুলো সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিপ্রকাশ এবং রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রিত ও কলুষিত করার ব্যর্থ চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়। যিনি (খালেদা জিয়া) কোনো অপরাধই করেন নাই, তাঁর ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

তিনি বলেন, ‘দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পাবেন খালেদা জিয়া’— আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটেছে, যা ভ্রষ্টাচার ছাড়া আর কিছুই নয়।’

প্রিন্স বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে সরকার রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে উন্নত চিকিৎসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায়। এ জন্যই ফরমায়েশি রায়ের ওপর ভিত্তি করে তাঁকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার কিছু হলে সমস্ত দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।’

খালেদা জিয়া সাময়িক মুক্তি পেয়েছেন দুটি শর্তে। এর একটি হলো তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। অপরটি হলো চিকিৎসা করাতে হবে দেশে থেকে।

তবে প্রিন্স খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার পথে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর