লকডাউন চলাকালে অসহায় মানুষের পাশে থাকতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার সকালে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন। এ সময় দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির আয়োজনে ৩০টি জেলার জন্য সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনীতি হচ্ছে মানুষের জন্য। তাই মানুষের মুখের হাসি ফোটানোর জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণের সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সরকার ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সময় নিজেদের কল্যাণের কথা ভেবে সবাই ঘরে অবস্থান করুন।
‘করোনার সংক্রমণ এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এমন বাস্তবতায় আমাদের সবার এবং পরিবারের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন জরুরি হয়ে পড়েছে। শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধির প্রতি সামান্যতম অবহেলা আমাদের ছিটকে দিতে চিরচেনা জগৎ থেকে।’
কাদের বলেন, ‘সংকট এবং দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। করোনা প্রতিরোধে যেখানে যাকে প্রয়োজন, তাকে সে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তাতে আস্থা রাখতে হবে। জীবন-জীবিকার সমন্বয় করে করোনার প্রথম ধাপ তিনি সফলভাবে মোকাবিলা করেছেন। দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধের পাশাপাশি অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রশংসা কুড়িয়েছে দেশ-বিদেশে। অথচ একটি রাজনৈতিক দল মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে নিজেরা নিরাপদ দূরত্বে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম মিথ্যাচারের বাজনা বাজিয়ে যাচ্ছে।
‘বিএনপি সচেতনতা তৈরি না করে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে। তারা টিকার বিরুদ্ধেও চালিয়েছিল নির্লজ্জ মিথ্যাচার। অথচ এখন তারাই টিকার জন্য সবার আগে লাইনে দাঁড়িয়েছে। অপপ্রচারের ঘোড়ায় চড়ে বিএনপি সরকারের অর্জন ম্লান করতে পারবে না। জনগণ তাদের নেতিবাচক রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি শুধু অপপ্রচারই চালাবে, আর শেখ হাসিনা জনগণকে দেয়া ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাবেন। শেখ হাসিনা আমাদের আস্থার ঠিকানা। তার নেতৃত্বে আমরা করোনার অভিঘাত সবার সহযোগিতায় মোকাবিলা করব ইনশাল্লাহ।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ নেতারা।