নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই বিএনপি নির্বাচনব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সকালে নিজ বাসভবনে এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা এবং জনবিচ্ছিন্নতা আড়াল করতে নির্বাচনব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির রাজনীতি কথামালার আড়ালে বৈপরীত্যের প্রদর্শনী মাত্র। মুখে রাষ্ট্রকাঠামো কিংবা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কথা বললেও নিজেরাই নির্বাচন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ একচ্ছত্র শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন করে দিচ্ছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ নাকচ করে দেন ওবয়াদুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এটা একেবারেই কল্পিত, মনগড়া ও মুখরোচক। এর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই। প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিকে কিছু না কিছু বলতেই হবে, এটি সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র এবং সরকার চলে সুনির্দিষ্ট সাংবিধানিক কাঠামো ও বিধিবিধানের আওতায়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন।
‘বিএনপি যদি নির্বাচনে না থাকে, তাহলে গণতন্ত্র কীভাবে অর্থবহ হবে? উল্টো তারা গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। শক্তিশালী রাষ্ট্রকাঠামোর প্রতি বিএনপির কমিটমেন্ট থাকলে তারা সরকারের বিরুদ্ধাচারণ করতে গিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচারণ করত না।’
কাদের বলেন, ‘একদিকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট এবং দেশ-বিদেশে রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার অব্যাহত রাখা, অন্যদিকে রাষ্ট্রকাঠাম শক্তিশালীকরণের কথা বলা বিএনপির দ্বিচারিতা ছাড়া কিছু নয়।’
এর আগে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বর্ষা মৌসুমে সড়ক-মহাসড়কের নজরদারি জোরদার করার তাগিদ দেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সড়কের যেখানে ছোটখাটো গর্ত হবে, সেখানে সঙ্গে সঙ্গে মেরামত করতে হবে। পাশাপাশি নতুন পাস হওয়া প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের দাপ্তরিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো এ সময়ে এগিয়ে নিতে হবে।’