বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশের উন্নয়নে বিমোহিত মঞ্জু

  •    
  • ২৯ জুন, ২০২১ ১৫:৫৪

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকা ভান্ডারিয়ায় গিয়ে দেখলাম সেখানে বিউটি পারলার আছে, ঘরে ঘরে ফ্রিজ আছে। অথচ প্রথম যখন যাই, তখন ছিল হোগলাপাতা-গোলপাতার ঘর, ছনের ঘর। সেখানে টিনের ঘর তো এখন ডালভাত, হয়েছে ছয়তলা দালান। সত্যিই এটা অবিশ্বাস্য।

দেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নে বিমোহিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। নিজ নির্বাচনি এলাকা ভান্ডারিয়ার পাশাপাশি সারা দেশে যেসব উন্নয়ন হয়েছে তার খণ্ডচিত্র তুলে ধরে জাতীয় সংসদে তিনি প্রশংসা করেছেন সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর।

মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। সাবেক এ মন্ত্রী তার বক্তব্যে সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতেই বেশি সময় ব্যয় করেন।

সংসদে তিনি বলেন, জনজীবনের যে উন্নয়ন হয়েছে, সেটা অন্ধরাও দেখতে পারবে। শত্রুও অস্বীকার করতে পারবে না এসব উন্নয়ন।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকা ভান্ডারিয়ায় গিয়ে দেখলাম সেখানে বিউটি পারলার আছে, ঘরে ঘরে ফ্রিজ আছে। অথচ প্রথম যখন যাই, তখন ছিল হোগলাপাতা-গোলপাতার ঘর, ছনের ঘর। সেখানে টিনের ঘর তো এখন ডালভাত, হয়েছে ছয়তলা দালান। সত্যিই এটা অবিশ্বাস্য।

তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীসহ সকল মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। করোনার মধ্যে এই বাজেটের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। তবে ‘ধন্যবাদ’ বললেই অনেকে বলেন যে ‘দালালি’ করছি। আরে কার দালালি, কিসের জন্য দালালি? আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন তার জন্য হাজার শুকরিয়া। যে উন্নয়ন হয়েছে, তা বলতেই হবে।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে এখন একটা কঠিন সময় যাচ্ছে। সকালবেলা যিনি রাজা, বিকেলেই তিনি ফকির। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ একটা বাজেট দিয়েছে। এই বাজেট গতবারের চাইতে সামান্য একটু বেশি। একটা পরিকল্পনা করা হয়েছে, স্বপ্ন দেখানো হয়েছে, এটা অত্যন্ত আশার কথা।

বর্ষীয়ান এ সংসদ সদস্য বলেন, একসময় ঢাকা থেকে এলাকায় যেতাম স্পিডবোটে। চাঁদপুরের কাছে দেখতাম বড় বড় পালতোলা নৌকা, সেগুলো এখন নেই। এখন ছোট নৌকাগুলোও ইঞ্জিনচালিত। মানুষের চালানো রিকশা থাকলেও এখন অনেক বেড়েছে যন্ত্রচালিত যানবাহনের সংখ্যা। তবে কৃষিক্ষেত্রে যতটা আশা ছিল, কৃষিতে ততটা যন্ত্র যোগ করতে পারিনি।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দেশের আনাচকানাচ ঘুরে দেখার সুযোগ আমার হয়েছে। কী পরিবর্তন সেটা লক্ষ করেছি। আমি পত্রিকার লোক, সত্য আমি বলব। যারা সমালোচনা করেন, তাদের উচিত দেশটাকে আরও একনিষ্ঠভাবে দেখা। দেশে এখন কোনো অভাব নেই। যেটুকু অভাব আছে, তা ব্যবস্থাপনার।

মঞ্জু বলেন, পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের টানাপোড়েন সেই পাকিস্তান আমল থেকে চলে আসছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বলে বড় করেন, অর্থমন্ত্রী বলেন ছোট করেন। এখন যে বাজেট দেয়া হয়েছে, আমরা তার ৪০ শতাংশ ব্যবহার করতে সক্ষম। এমন সময় ছিল যখন ২০ শতাংশের বেশি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হতাম না।

তিন আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের ভেতরে কিছু শুভংকরের ফাঁকি আছে। বাজেটে যে বরাদ্দ দেয়া হয়, তারপর ট্যাক্সসহ খরচ কেটে হাতে পৌঁছে কম। এলাকার জন্য যদি ১০০ টাকা দেয়া হয়, আমি আসলে ৬০ টাকা পাই। তখন জনগণ আমাকেও চোর বলে, ঠিকাদারকেও চোর বলে, অফিসারদেরকেও চোর বলে। কীভাবে আমরা বোঝাব- ‘আসলে ১০০ টাকা দেয়নি’।

এ বিভাগের আরো খবর