বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায়’ তারেকের ‘নতুন দিকনির্দেশনা’

  •    
  • ২৮ জুন, ২০২১ ২০:৩২

আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় একটা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তার দিকনির্দেশনা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট হব। আমরা আশা করি, আগামী দিনগুলোতে সে লক্ষ্যেই আমাদের সব কাজ, আমাদের শক্তি, আমাদের মেধাকে আমরা নিয়োগ করব: ফখরুল

সরকার গণতান্ত্রিক নয় অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তারেক রহমান।

তবে যুক্তরাজ্যে অবস্থানকারী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কী কী নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটি জানাননি ফখরুল। যদিও বলেছেন, তারেকের দেয়া নির্দেশনা মেনেই তারা তাদের সব শক্তি ও মেধা নিয়োগ করবেন।

সোমবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় একটা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তার দিকনির্দেশনা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট হব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, আগামী দিনগুলোতে সে লক্ষ্যেই আমাদের সব কাজ, আমাদের শক্তি, আমাদের মেধাকে আমরা নিয়োগ করব।’

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর সে সময়ের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার পর তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ওই সরকারের ওপর বিএনপির ব্যাপক প্রভাব ছিল। তবে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারি হলে ক্ষমতাকাঠামো থেকে কার্যত ছিটকে পড়ে বিএনপি।

এরপর ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে পরাজয় আর ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনসহ নানা ঘটনায় বিএনপির প্রভাব এখন দৃশ্যত কমে এসেছে।

এর মধ্যে ২০১৩ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ২০১৫ সালে সরকার পতনের আন্দোলনে ব্যর্থতার পর বিএনপি আর আন্দোলনে যায়নি।

সম্প্রতি দলটি আবার আন্দোলনে যাওয়ার কথা বলছে। আর করোনা পরিস্থিতি তাদের এই পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে রাষ্ট্রের কাঠামোটাকেই পাল্টে দিয়েছে অভিযোগ করে একে মুক্তিযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় অপরাধ বলে উল্লেখ করেন ফখরুল।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধান একমাত্র রাজনৈতিকভাবেই। সেই রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হলে আজকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে কোনো বিকল্প নেই এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার।’

এ জন্য জনগণের ঐক্যে জোর দিয়েছেন ফখরুল। বলেন, ‘সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে, যারা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে তাদের ঐক্যবদ্ধ করে আজকে আমাদের একটা গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, একটা গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে সত্যিকার অর্থেই জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যে অবস্থানকারী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য সেখানে গিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তিনি বিদেশে অর্থ পাচার, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডিত।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার গায়ের জোরের সরকার, ভোটবিহীন সরকার। তারা তো কোনো সময়ে ধর্মের অর্থাৎ আমরা যে সংবিধানের অনুশাসনের কথা বলছি, তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) মানবে না।

‘এর একমাত্র সমাধান জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা। সে জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের অন্য কোনো বিকল্প নেই।’

আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশনস (বিএনআরসি)। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল: ‘জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের সরকারি সিদ্ধান্ত: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার পুনরায় লুণ্ঠনের এক নতুন ষড়যন্ত্র’।

এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ।

আয়োজক সংগঠনের প্রধান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের পরিচালনায় আড়াই ঘণ্টার এই আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব আব্দুর রশিদ সরকার ও মোহাম্মদ জকরিয়া, বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামানও বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর