জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপিপন্থিদের সমাবেশ। শ্রোতাদের আসনে উপস্থিত কর্মীদের উপর্যুপরি স্লোগান চলছিল। আর এই স্লোগানে ভয় পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হয়ে যান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বক্তব্য দেয়ার আগে ও বক্তব্য চলাচালে স্লোগান শুনে বিরক্ত হয়ে একপর্যায়ে বলেন, ‘যখন আমি ঘরের মধ্যে স্লোগান শুনি তখন আমি ভীত হয়ে যাই।’
স্লোগান রাজপথে শুনতে চান আব্বাস। আর সেই স্লোগান তাকে সাহসী করে তোলে বলেও জানান। বলেন, ‘এই স্লোগান আমাদের ঘরের মধ্যে নয়, রাজপথে দিতে হবে। সেই প্রস্তুতি নিন।
‘এই স্লোগান যখন আওয়ামী সরকারের কানে পৌঁছাবে, আর এই ছোট ছোট মিটিংয়ের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হব, তখন এই স্লোগান স্লোগানে এই সরকার নড়বড়ে হয়ে যাবে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।’
সরকার দেশের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করে কেবল বিএনপি নিয়ে কথা বলে বলেও অভিযোগ করেন আব্বাস। বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপি ছাড়া কাউকেই চোখে দেখে না। বিএনপি ছাড়া তাদের কথা বলার কোনো বিষয় নেই।
‘দেশে করোনায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। টিকা নিয়ে কারচুপি করলেন, টিকা না থাকার কারণে করোনা পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। লুট করে টাকা বিদেশে জমা হচ্ছে, এই সম্পর্কে কোনো কথা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুট হয়ে গেছে, সেই সম্পর্কে কোনো কথা নেই।’
সরকারকে ‘অত্যাচারের ব্র্যান্ড’, ‘খুনের ব্র্যান্ড’, ‘গুমের ব্র্যান্ড’, ‘লুটের ব্র্যান্ড’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অত্যাচারের যত সীমা রয়েছে, এই সরকার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।’
সরকারকে ফ্যাসিস্ট দাবি করে তিনি বলেন, ‘তাদের মতো এই সরকারেরও করুণ পরিণতি হবে।’
সরকার সভ্য হলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিত উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, ‘কিন্তু এই অসভ্য সরকার সেটা করেনি আর করবেও না। আমরা তাদের কাছ থেকে আর আশাও করতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘তারপরও আমরা তার চিকিৎসার জন্য জোর দাবি জানাব। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয়, তাহলে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে আজকের এই সরকারকে। আজ হোক কিংবা কাল হোক, মাফ পাওয়ার কোনো সুযোগ আপনাদের নেই।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, নির্বাহী তথ্য গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলও এ সময় বক্তব্য রাখেন।