বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বাইরে রাখা উচিত বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এফডিসি মিলনায়তনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষায় প্রস্তাবিত বাজেট’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি প্রান্তিক মানুষের দারিদ্র্য হ্রাস এবং জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখছে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। তবে জাতির সূর্যসন্তানদের জন্য এই বরাদ্দকে সামাজিক সুরক্ষা খাতের বাইরে বাজেটের অন্য খাতে রাখা উচিত বলে আমি মনে করি।’
তবে সরকারি কর্মচারিদের পেনশন সামাজিক সুরক্ষার আওতার থাকাটাই ‘যুক্তিযুক্ত’ বলে মনে মন্ত্রী।
মুক্তিযোদ্ধাদের এতদিন ১২ হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা ভাতা দিত সরকার। ১ জুলাই থেকে এই ভাতা বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট বাস্তবায়নে আমাদের এখন প্রয়োজন দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা।’
‘ধানক্ষেতে আগুন লাগিয়ে যারা নাটক করেছে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে’ মন্তব্য করে রাজ্জাক বলেন, ‘দেশ এখন দানা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিখাতে দেয়া সাবসিডি (ভর্তুকি) খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবদান রাখছে।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নতুন বাজেটে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন প্রদানে নিশ্চিয়তাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।’
‘এছাড়া সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশকে অগ্রাধিকার দিয়েছে; যাতে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি হয় এবং গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থান করা যায়। কৃষি আধুনিকীরণ ও কৃষকদের জীবনমান উন্নয়ন সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এক্ষেত্রে সরকার নানামুখী ভুর্তকি দিচ্ছে।’
‘বর্তমানে দেশের কোথাও খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই; বরং জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে।’
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘করোনার অতিমারিতে দেশে ৬ কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্রের শিকার। যার মধ্যে নতুন দরিদ্র হয়েছেন আড়াই থেকে তিন কোটি। নতুন এই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও নগদ সহায়তা প্রদানে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা থাকা দরকার ছিল বাজেটে।’
প্রতিযোগিতায় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে পরাজিত করে প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়ান হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মাইনুল আলম, চ্যানেল আইয়ের বার্তা সম্পাদক সাকিলা জেসমিন, একাত্তর টিভির অর্থনৈতিক বিষয়ক সাংবাদিক কাবেরী মৈত্রেয়, উন্নয়ন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এস এম মোর্শেদ ও সাবেক বিতার্কিক ও যুগ্ম কর কমিশনার- মেহেদী হাসান তামিম।
প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ক্রেস্ট, ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।