স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে মানুষের অবহেলা এবং অবাধ চলাচল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি জটিল অনেক জটিল করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, এ ধরনের উদাসীনতা মানুষকে জীবন থেকে ছিটকে দিতে পারে।
রাজধানীতে সরকারি বাসভবনে শনিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা। এ সময় লকডাউন ফলপ্রসু করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কাদের বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের ব্যাপকতায় সরকার সোমবার থেকে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। মহামারির এই আগ্রাসী রূপ ঠেকাতে এবং নিজের সুরক্ষায় সচেতনতার সর্বোচ্চ নজির স্থাপন করতে হবে।
‘স্বাস্থ্যবিধি না মেনে একগুঁয়েমি এবং অবাধ চলাচল পরিস্থিতিকে জটিল থেকে জটিলতর করে তুলছে। তাই এ অবস্থায় ঘরে ঘরে সচেতনতার দুর্ভেদ্য দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সামান্য অবহেলায় জীবন হতে পারে বিপন্ন। মানুষের জীবনের সুরক্ষায় সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে প্রতিপালনে সকলের প্রতি আহ্বান থাকল। প্রশাসন ও পুলিশকে ফাঁকি দেয়া যায় কিন্তু মৃত্যুকে ফাঁকি দেয়া যায় না। তাই স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা আমাদের জীবন থেকে ছিটকে দিতে পারে।’
এ সময় বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্যের সমালোচনাও করেন তিনি। কাদের বলেন, ‘বিএনপি এ দেশের ব্রান্ডেড অত্যাচারী ও জনগণের সম্পদ লুন্ঠনকারী রাজনৈতিক দল। বিএনপির বর্তমান যেমনি হতাশাগ্রস্ত তেমনি ভবিষ্যতও কুয়াশাচ্ছন্ন।
‘সংকটের অক্টোপাস বিএনপিকে ঝেঁকে ধরেছে। নেতাদের হঠকারিতায় তাদের রাজনীতি এখন গভীর খাদের প্রান্তে অবস্থান করছে। বিএনপি তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে আবোল তাবোল বকছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম মিথ্যাচারের রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার না করলে বিএনপির পেটের ভাত হজম হয় না।’
‘দেশে এখন চরম দুঃসময় চলছে’ বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগ নাকচ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশ নয়, চরম দুঃসময় চলছে এখন বিএনপির রাজনীতিতে।
‘শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আস্থাহীনতা, সিদ্ধান্তহীনতা, নির্বাচনবিমূখতা এবং অগণতান্ত্রিক চর্চা বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করছে দিন দিন। নেতাকর্মীদের হতাশাকে করেছে দীর্ঘায়িত। নেতিবাচক ও অপরাজনীতি তাদেরকে করে তুলছে জনবিচ্ছিন্ন।’