বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুবলীগ নেতাসহ ২৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৩

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৩ জুন, ২০২১ ১৪:৫১

কমলনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চরলরেন্স ইউপির চেয়ারম্যান আহসান উল্যাহ হিরন জানান, ভোটের দিন তিনি হাজিরহাট ইউপির নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নিজাম উদ্দিনের নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত ছিলেন। অথচ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলার আসামি তিনি।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় উপজেলা যুবলীগ নেতা মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পীসহ ২৩৪ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর গাড়িচালক নিজাম উদ্দিন মঙ্গলবার রাতে কমলনগর থানায় এ মামলা করেন। এতে ২৩৪ আসামির মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৫৪ জনের।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিদের মধ্যে আছেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আহসান উল্যাহ হিরন, তোরাবগঞ্জ ইউপির পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল আহমদ রতন ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা রাকিবুল হাসান বিপ্লব।

এ ঘটনায় চরলরেন্স ২ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা ইছমাইল হোসেন, আবদুল মতিন ও সবুজ উদ্দিন নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চরলরেন্সের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটের সময় কমলনগরের তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সোমবার (২১ জুন) দুপুরে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ আধা ঘণ্টার জন্য বন্ধ রেখে আবার চালু করা হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক বলেন, ‘তোরাবগঞ্জ বাজারে প্রকাশ্যে আসামিরা আমাকে হত্যা করতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। আমার গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

কমলনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চরলরেন্স ইউপির চেয়ারম্যান আহসান উল্যাহ হিরন জানান, ভোটের দিন তিনি হাজিরহাট ইউপির নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নিজাম উদ্দিনের নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত ছিলেন। অথচ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলার আসামি তিনি।

তার দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতে এই মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।

একই দাবি করেছেন মামলার আরেক আসামি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পী।

তিনি বলেন, ভোটের দিন তিনি উপজেলার বাইরে ছিলেন। কী কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে, তা তার জানা নেই। এই মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি করেছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর