বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুবলীগের আনিসুরের জামিন সাড়ে ৩ মাস পর প্রকাশ

  •    
  • ২২ জুন, ২০২১ ২২:১৪

গত ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় আনিসুরকে জামিন দেয় বলে মঙ্গলবার আদালতের দুদক নিবন্ধন শাখা থেকে জানতে পেরেছে নিউজবাংলা।

রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকাতে ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাড়ে তিন আগেই জামিন পেয়েছেন যুবলীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলো মঙ্গলবার।

গত ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় আনিসুরকে জামিন দেয় বলে মঙ্গলবার আদালতের দুদক নিবন্ধন শাখা থেকে জানতে পেরেছে নিউজবাংলা।

ওই দিন আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেনের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আনিসুর।

দুদকের নিবন্ধন শাখার নথি থেকে জানা যায় আসামির জামিন শুনানিতে আইনজীবী জাহাঙ্গীর বলেন, ‘কাজী আনিসুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ একাধিক ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে ঠিকাদারি কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কোনো অনিয়মের সাথে জড়িত না। তার বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হয়নি।’

আদালতকে আইনজীবী জানান, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি আসামি প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারি কাজের বিনিময়ে পেমেন্ট অর্ডারের মাধ্যমে ও পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করেননি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়।

‘শুধুমাত্র অনুমানের ওপর ভিত্তি করে মামলাটি করা হয়েছে। হয়রানি করতে তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। তার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত কোনো সম্পদ বা সম্পত্তি নেই। দেশে ও বিদেশে বিপুল পরিমান অর্থ সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়।’

জামিন শুনানিতে আনাসি আনিসুরকে অসুস্থ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।

দুদকের পক্ষে মীর আহম্মেদ আলী সালাম জামিনের জোরালো বিরোধিতা করেন ও আপত্তি জানান।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আনিসুরকে জামিন দেন বিচারক।

১২ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ৯২০ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয়ের বাইরে অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন কমিশনের উপ পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

ওই দিন কাজী আনিসুরের স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধেও অবৈধ উপায়ে ১ কোটি ৩১ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা হয়। সুমি রহমানও আত্মসমর্পণ করে গত বছরের ২৬ নভেম্বর জামিন পান।

এ বিভাগের আরো খবর