পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর প্রায় দুই ঘণ্টা ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।
কেশবপুর হাইস্কুল কেন্দ্রে সোমবার সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পরপরই এই ঘটনা ঘটে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এই এলাকায় আগের একটি হত্যা মামলা নিয়ে ইউপি সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সালেহ উদ্দিন পিকুর মধ্যে বিরোধ চলছিল। সকালে দুই পক্ষের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে গেলে পুরোনো বিরোধের জেরে আবার তর্কাতর্কি ও সংঘর্ষ হয়। তখন কুপিয়ে জখম করা হয় রাব্বি ও রাশমন নামের দুইজনকে। আহত হন আরও তিনজন।
জানান, আগের একটি জোড়া খুনের জের ধরে তার সঙ্গে থাকা লোকজনের ওপর নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী সালেহ উদ্দিন পিকুর লোকজন চড়াও হয়। তারা ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে রাব্বি ও রাশমন নামের দুইজনকে জখম করে। এ সময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। আহত হন আরও তিনজন।
ইউপি সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলামের দাবি, রাব্বি ও রাশমন তার সমর্থক।
সংঘর্ষ শুরুর পর ভোট স্থগিত করে দেন কর্মকর্তারা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে সকাল পৌনে দশটার দিকে আবার ভোট শুরু হয়।
ইউএনও জানান, আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর রাব্বি, রাশমন ও অজ্ঞাতপরিচয় আরেকজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।