বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকা ঠেকাতে ষড়যন্ত্রে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১৯ জুন, ২০২১ ১৮:৪২

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘টিকা আসার পর তা যেন জনগণ না নেয়, সে জন্য টিকার বিরুদ্ধে বিএনপি অপপ্রচার চালিয়েছে। আবার কয়দিন পরে নিজেরাই গোপনে টিকা নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ প্রকাশ্যে টিকা নিয়ে স্বস্তিও প্রকাশ করেছেন।’

বিশ্বের কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশ যেন করোনার টিকা সংগ্রহ করতে না পারে, তার জন্য বিএনপি গোপনে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের মানুষকে করোনা মহামারি থেকে রক্ষায় সরকারের টিকা সংগ্রহের কাজের শুরু থেকেই এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে বিএনপি। এমনকি টিকা আসার পর তা যেন জনগণ না নেয়, সে জন্য টিকার বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচারও চালিয়েছে।

‘আবার কয়দিন পরে নিজেরাই গোপনে টিকা নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ প্রকাশ্যে টিকা নিয়ে স্বস্তিও প্রকাশ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘এখন যখন বাংলাদেশ বিভিন্ন সূত্র থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে, তখন সাত সমুদ্রপারে বিএনপির বৈদেশিক শাখাগুলো ভেতরে ভেতরে অপচেষ্টা চালাচ্ছে যাতে বাংলাদেশ টিকা না পায়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না, সরকার বিভিন্ন সূত্র থেকে টিকা আনবে। শিগগিরই আবার ব্যাপকভাবে টিকাদান শুরু হবে।’

ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে চুক্তির পরও সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা পাচ্ছে না বাংলাদেশ।

এ অবস্থায় চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে টিকা কেনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। কিন্তু এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি।

একপর্যায়ে টিকার অভাবে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া গণটিকা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

অবশ্য চীনের সিনোফার্ম ১১ লাখ টিকা উপহার পাঠালে সেটি দিয়ে শনিবার থেকে আবারও দেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।

এর বাইরেও যুক্তরাষ্ট্র ফাইজার উদ্ভাবিত কিছু টিকা উপহার দিয়েছে বাংলাদেশকে। টিকা কার্যক্রমে এ টিকাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে গণটিকার কার্যক্রম আবার কবে শুরু হবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না সরকার।

বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সাহায্য গ্রহীতা থেকে এখন ঋণদাতা দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের এই উন্নয়ন, অগ্রগতি বিএনপির সহ্য হচ্ছে না বলেই তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে যখন দেশে এসেছিলেন, সে সময় তিনি যেন দেশে না আসতে পারেন সে জন্য তৎকালীন জিয়াউর রহমান ও তার সরকার নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। এমনকি দেশে এলেও যাতে জনসমাগম না হয়, সে জন্যও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। কিন্তু সেসব তুচ্ছ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ফিরেছেন। জনগণের রায়ে চারবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘৪০ বছরের দীর্ঘ পথচলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রমাণ করেছেন, তিনি শুধু সময়ের সাহসী সন্তানই নন, ষড়যন্ত্র-দুর্যোগের মধ্যেও অবিচল থেকে জাতিকে নেতৃত্বও দেন।’

এ বিভাগের আরো খবর