বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভূমিক্ষয় শূন্যে নামিয়ে আনা হবে: পরিবেশমন্ত্রী

  •    
  • ১৮ জুন, ২০২১ ০১:৫১

‘সরকার মরুকরণ ও খরা প্রতিরোধে পানির অপ্রাপ্যতা, বন উজাড়, ভূমিক্ষয় এবং পরিবেশের ওপর মানুষের অপরিকল্পিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে নিরলসভাবে কাজ করছে।’

উর্বর ভূমি সংরক্ষণের পাশাপাশি সবুজ অর্থনীতি ও টেকসই ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে ভূমিক্ষয় শুন্যে নামিয়ে আনতে সরকার নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।

বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত সেমিনারে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

‘ইউএন কনভেনশন টু কমব্যাট ডেজারটিফিকেশন’-এ সই করা দেশ হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার মরুকরণ ও খরা প্রতিরোধে পানির অপ্রাপ্যতা, বন উজাড়, ভূমিক্ষয় এবং পরিবেশের ওপর মানুষের অপরিকল্পিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে নিরলসভাবে কাজ করছে।’

এ সময় ভূমির অবক্ষয় রোধে ইটভাটায় সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক পদ্ধতি চালুর কথাও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘২০২৫ সালের পর সরকারি কাজে মাটির তৈরি ইট ব্যবহার করা যাবে না। সরকার গত বছর সাড়ে আট কোটি গাছ রোপণ করেছে। এ বছরও আট কোটি গাছ রোপণ করবে।’

যেকোনো প্রয়োজনে একটি গাছ কাটা হলে পাঁচটি গাছ লাগানোর নীতি বাস্তবায়ন করার কথাও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘এ সকল উদ্যোগ ভূমির ক্ষয়রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।’

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘মরুকরণ ও মৃত্তিকা অবক্ষয় রোধ করে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। কৃষকের আয় বাড়ার পথ প্রসারিত হবে। এ কার্যক্রম জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোকেও প্রশমিত করতে সহায়ক হবে।’

খরা প্রতিরোধে মন্ত্রী তার বক্তব্যে বনায়ন ও পুনর্বনায়নের পাশাপাশি ওই সব এলাকায় পানি সংরক্ষণাগার স্থাপন করে সেচের ব্যবস্থা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশে নদীতে উজানের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতার বিষয়েও আলোকপাত করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান বলেন, ‘ভূমির অবক্ষয় রোধে জাতীয় রোডম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও ঝুঁকি মোকাবেলায় জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় কার্যক্রম এবং খরা ও ভূমিক্ষয় রোধে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনায় আরও অংশ নেন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান।

এ বিভাগের আরো খবর