বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘খালেদার অসুস্থতা ধামাচাপা দিতেই পরীমনির ইস্যু’

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২১ ২০:২০

ফখরুল বলেন, ‘এখন খুব লাফালাফি হচ্ছে। পরীমণি কে? আমরা কি বুঝি না? আবার সেই ডাইভারশন। আবার সেই অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া। যখন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য, মুক্তি, দেশের গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি নিয়ে কথা হচ্ছে, করোনা যখন বাড়ছে তখন আবার এ ধরনের একটা ইস্যু সামনে হাজির করা হচ্ছে। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা আওয়ামী লীগের পক্ষেই সম্ভব।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরীমনির ইস্যুটি সামনে আনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ‘আজকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যখন অত্যন্ত অসুস্থ, তখন সেটা ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরীমনির বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। এ সরকার সব সময় একটা ঘটনার পেছনে আরেকটি প্রসঙ্গ দাঁড় করিয়ে দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন খুব লাফালাফি হচ্ছে। পরীমণি কে? আমরা কি বুঝি না? আবার সেই ডাইভারশন। আবার সেই অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া। যখন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য, মুক্তি, দেশের গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি নিয়ে কথা হচ্ছে, করোনা যখন বাড়ছে তখন আবার এ ধরনের একটা ইস্যু সামনে হাজির করা হচ্ছে। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা আওয়ামী লীগের পক্ষেই সম্ভব।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিমণির এই ঘটনা কতটুকু সত্য বা মিথ্যা, জানি না। এটা দেখে মনে হয়েছে সবকিছুই এ দেশে সম্ভব। মামলা করল একটা, কিন্তু আরেক অপরাধের দায় দিয়ে গ্রেপ্তার করে তাকে রিমান্ডে নেয়া হলো। এটা আমি বুঝতে পারিনি। মামলা করল ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা, কিন্তু রিমান্ডে নেয়া হলো মাদকের জন্য। যেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে, সেই বাড়িটাও তার না। এগুলো বোধগম্য না।

‘তাহলে কি ক্ষমতাসীনরা যা চাইবেন তা–ই হবে? প্রশাসন কি এইভাবে তুলে নিয়ে সম্মান, পরিবারের কাছে সম্মান সবকিছু ধূলিসাৎ করে দেবে?’

বিএনপি কারও দয়ায় চলে না

‘বিএনপির সঙ্গে একসঙ্গে বাস করা যায় না’ ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের আসল চরিত্র বেরিয়ে গেল। তারা কোনো বিরোধী দল চায় না। বিএনপি কারও দয়ার দল না। বিএনপি টিকে রয়েছে কারও দয়ায় নয়। বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে টিকে রয়েছে। বর্তমানে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে তার জন্য আওয়ামী লীগের একদিন বিচার হবে।’

‘গাছের ফাঁক থেকে গুলি হওয়ার আশঙ্কায় গাছ কেটেছিলেন জিয়া’ তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের যে তথ্যমন্ত্রী আছেন, তার কাজ হচ্ছে নতুন নতুন তথ্য সৃষ্টি করা। আজ পর্যন্ত এ ধরনের কোনো কথা শুনিনি। জিয়াউর রহমান সিঙ্গাপুর, সৌদিতে গাছ লাগিয়েছেন। দেশে সবুজায়ন ও খাল খনন কর্মসূচি করেছিলেন।’

এ সময় ফখরুল বলেন, কোনো জাতি নিজে না জেগে উঠলে, তারা মুক্তি অর্জন করতে পারে না। এ জায়গায় বড় করে ভাবতে হবে। তরুণ যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। গণতন্ত্র মুক্ত না হলে কারও নিরাপত্তা নেই। খালেদা জিয়া অসুস্থ এবং সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। তার মুক্তি ও সুচিকিৎসা দাবি জানাচ্ছি।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, আবদুল হাই শিকদার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ইনকিলাবের সম্পাদক রেজোয়ান সিদ্দিকীসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর