বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘দেশের ১২ কোটি মানুষের জন্মতারিখ নেই’

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২১ ১৮:০৫

ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১২ কোটির কোনো জন্মতারিখ নেই। দেশের কোনো মেয়েলোকের বয়স ঠিক আছে? কারোরই বয়স ঠিক নেই। এ দেশের দুর্বল বিচারপতিরা এই মামলাটা যখন হাইকোর্টে গেল, তাদের প্রথম দিনই এটাকে ডিসমিস করা উচিত ছিল। আমাদের সময়ে বাবা-মায়েরা বয়স ঠিক করতেন না, বয়স ঠিক করতেন হেডমাস্টার।’

দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১২ কোটির কোনো জন্মতারিখ নেই, এমন মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ডিজিটাল নিরাপত্তা কালো আইন বাতিলের দাবি শীর্ষক নাগরিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১২ কোটির কোনো জন্মতারিখ নেই। দেশের কোনো মেয়েলোকের বয়স ঠিক আছে? কারোরই বয়স ঠিক নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ দেশের দুর্বল বিচারপতিগণ এই মামলাটা যখন হাইকোর্টে গেল, তাদের প্রথম দিনই এটাকে ডিসমিস করা উচিত ছিল। আমাদের সময়ে বাবা-মায়েরা বয়স ঠিক করতেন না, বয়স ঠিক করতেন হেডমাস্টার। আমরা যারা উঁচু লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছি, আমাদের বয়সও ঠিক করেছিলেন হেডমাস্টার।

‘আজকে সেখানে খালেদা জিয়ার বয়স নিয়ে একটা মামলা করেছে, এটা দেখে হাইকোর্টের বিচারপতির প্রথমেই বলা উচিত ছিল এইসব ফালতু কিছু দেখার জন্য হাইকোর্টের সৃষ্টি হয় নাই। আপনারা এটা কী করছেন? বিএনপি এত বড় একটা পার্টি, তার নেত্রীকে আপনারা অপমান করছেন।’

‘আমি মনে করি, তাদের উচিত হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সংসদ ভবনে যাওয়া। এবং প্রধান বিচারপতিকে ঘেরাও করা। আজকে সবাইকে নিয়ে আন্দোলন করা ছাড়া আমাদের কারও মুক্তি নাই।’

তিনি বলেন, ‘সরকার ৬ লাখ কোটি টাকার বাজেট করেছে। আমি একটা লেখা লিখেছি, অর্থমন্ত্রীর ভানুমতির খেলা। এই ৬ লাখ কোটি টাকার মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা পাবেন জনপ্রশাসন অর্থাৎ আমলারা। অর্থাৎ আমলারা এক-পঞ্চমাংশ ভাগ পাবেন। বাজেটে সরকার তাদেরকে খুশি করেছে। এই আমলারা সরকারকে ক্ষমতায় এনেছেন, তাই তাদেরকে খুশি রাখতে এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

‘এই দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে আর সরকার দাঁড়িয়ে আছে ধারের (ঋণ) ওপরে। এই বছরের বাজেটে প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।’

সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আন্দোলনের জন্য তৈরি হন। এই সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে। আমাদের একযোগে লড়াই করতে হবে। বড় বড় দলগুলোকে বলছি, আপনারা যদি ভেবে থাকেন আগামী নির্বাচনটা দেখি, তাহলে ভুল হবে। কারণ উনি ৭ এর জায়গায় ৭০টা সিট দিবে, কিন্তু ক্ষমতা দিবে না। সুতরাং একে ক্ষমতা থেকে না নামিয়ে নির্বাচনে যাওয়া যাবে না।’

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষকে রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ একমাত্র জনগণই পারে এমন শাসক দলকে হটিয়ে দিতে। আগামীতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

নাগরিক সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তৈমুর আলম খন্দকার, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান ড. নুরুল আমিন বেপারী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমাউন কবিরসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর