দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িতরা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নিজ বাসায় নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বুধবার সকালে এ কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘দুর্নীতি ও অপকর্মের সাথে জড়িত কোনো মনোনয়ন প্রত্যাশী আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে কোনোভাবেই মনোনয়ন পাবে না।
‘দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শূন্য সহিষ্ণুতা নীতিতে অটল। মন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ী, আমলা যারাই দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর।’
তিনি বলেন, ‘দুদক স্বাধীনভাবে তদন্তের মাধ্যমে কাজ করছে। দলীয় অনেক এমপিরও সাজা হয়েছে, কেউই রেহাই পাচ্ছে না এবং দলীয় পরিচয়ের অনেকেই দুর্নীতির অভিযোগে জেলে আছেন।’
সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় বিএনপি নেতাদের সমালোচনাও করেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিতে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, হাওয়া ভবনের প্রতিষ্ঠাতা বিএনপির মুখে দুর্নীতিবিরোধী বক্তব্য ভূতের মুখে রাম নাম। দুর্নীতি করে যারা দেশ-বিদেশে অর্থ পাচার করেছে বা সম্পদ গড়েছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিএনপি নেতাদের আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, ‘দুদকের মতে তথ্যপ্রমাণের অভাবে অনেক মামলা এগুচ্ছে না, কাজেই ঢালাওভাবে অভিযোগ না করে এবং অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ দিন,’
এ সময় শেখ হাসিনার সরকারকে গণমাধ্যমবান্ধব বলেও তুলে ধরেন কাদের।
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক সমাজের সুখ-দুঃখের সাথে তিনি (শেখ হাসিনা) জড়িয়ে আছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণমাধ্যমের ব্যাপক সম্প্রসারণ সরকারের উদারনীতির সাক্ষ্য বহন করে।
‘করোনাকালে মিডিয়া কর্মীদের বন্ধু ও স্বজন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পাশে দাঁড়িয়েছেন। পেশাগত মর্যাদা ও আর্থিক সুরক্ষায় নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় আইনগত সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
কাদের বলেন, ‘দেশের গণমাধ্যম কর্মীদের স্বার্থের বিপক্ষে কোনো কাজ শেখ হাসিনা সরকার করেনি, করবেও না। বিএনপির শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের রেকর্ড গড়েছিল তারা এবং তাদের শাসনামলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার অভিযোগও এনেছিল বিএনপি।
‘গণমাধ্যমের সেই শত্রু ও নির্যাতনকারী বিএনপি আজ সাংবাদিকদের বন্ধু সেজেছে। তাদের মুখোশ সবার জানা, বিভিন্ন পেশায় কর্মরতদের উসকানি দিয়ে বিদ্যমান স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায় বিএনপি।’
এ সময় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনোভাবেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ হবে না বলেও জানান আওয়ামী লীগ নেতা।