বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বোট ক্লাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চান এমপি হারুন

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২১ ১৩:৩০

নারীদের নিয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘দেশে এমন একটা প্রচলন, নারীরা ক্লাবে গেলে খারাপ মেয়ে খুব সহজেই বলে দিতে পারে; নারীদের মদ্যপান হারাম। পুরুষদের মদ্যপান কি বৈধ? রাত জেগে সারা রাত ধরে পুরুষরা মদ্যপান করে। তখন বলে যে না, ঠিক আছে। দুটোই হারাম। দুটোই নিষিদ্ধ।’

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বোট ক্লাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য (এমপি) হারুনুর রশীদ।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র-২০২১ বিল’ পাসের আগে সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

ওই সময় পরীমনির অভিযোগের পর দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান হারুন।

পরীমনি রোববার রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনার কয়েক ঘণ্টা পর বিষয়টির বিস্তারিত নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে আসেন।

সাংবাদিকদের পরী জানান, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা বোট ক্লাবে। নাসির উদ্দিন নামে একজন তাকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে এই ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলেন। ঘটনার পর থেকে দ্বারে দ্বারে ‍ঘুরেও কোথাও সহযোগিতা পাননি। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নিজের জীবন নিয়েও আশঙ্কার কথা জানান এই অভিনেত্রী।

পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারের পর ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে মাদক মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার অপর তিন নারীকে পাঠানো হয়েছে ৩ দিনের রিমান্ডে।

আসামিদের মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে শুনানি শেষে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এ আদেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক নিভানা খায়ের জেসী।

ওই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির এমপি হারুন বলেন, ‘বোট ক্লাবের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ক্লাবের সভাপতি বা প্রধান পুলিশেরও প্রধান। দেখা যাচ্ছে তুরাগ নদের বুকে এটা গড়ে উঠেছে বলে যা ভাইরাল হয়েছে, তাতে এটা নদীর পার দখল করে গড়ে উঠেছে কি না, এটা দেখতে হবে।’

হারুনুর রশীদ বলেন, ‘কিছুদিন আগে মাত্র ২০-২১ বছরের একটি মেয়ে মুনিয়া, সে ব্যভিচারের শিকার হলো। কারা করল? এই অপরাধের সাথে কারা জড়িত? তার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কতটুকু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন?

‘অবশ্যই ব্যাপারগুলো নারীর সুরক্ষা, নারীর নিরাপত্তার সাথে জড়িত। সমাজের ওপরের স্তরের লোকেরা যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত, তাদের যদি কঠোর আইনের আওতায় আনতে পারেন তাহলে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।’

ওই সময় ইসলামের বিধানের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমাদের ইসলামিক আইনে আছে নারীরা কোথাও বাইরে গেলে মাহরাম (পুরুষ অভিভাবক) লাগে। সেখানে নারীদের পাঠিয়ে দিচ্ছি অন্য দেশে। সেখানে যেয়ে বিপদগ্রস্ত হলে সে বিভিন্ন ধরনের সংকটে পড়লে তাকে কে নিরাপত্তা দেবে? সেখানকার অ্যাম্বাসিগুলো খবর নেয় না।

‘এখানে যারা নারী পাচারকারী রয়েছে, তারা নারীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়। পাঠিয়ে দেবার পরে তাদের আর দায়দায়িত্ব নাই। আশা করি এই ক্ষেত্রে নারী ও শিশু মন্ত্রণালয় ব্যাপারটি খুব গুরুত্ব সহকারে নেবে।’

নারীদের নিয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘দেশে এমন একটা প্রচলন, নারীরা ক্লাবে গেলে খারাপ মেয়ে খুব সহজেই বলে দিতে পারে; নারীদের মদ্যপান হারাম।

‘পুরুষদের মদ্যপান কি বৈধ? রাত জেগে সারা রাত ধরে পুরুষরা মদ্যপান করে। তখন বলে যে না, ঠিক আছে। দুটোই হারাম। দুটোই নিষিদ্ধ।’

নারীর নিরাপত্তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে হারুন বলেন, ‘নারীরা কাজে যাবার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের জায়গা থেকে যদি কড়া মেসেজ দিতে না পারি, আইন আছে যদি আইনের সঠিক প্রয়োগ না করতে পারি, তাহলে কিন্তু সমস্ত আইন ভেস্তে যাবে। রাস্তায়, ট্রেনে, বাসে, লঞ্চে বিভিন্ন জায়গায় নারীরা সাংঘাতিকভাবে নিগৃহীত হচ্ছে।

‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন পাসের ফলে নারীদের কর্মসংস্থানের বিরাট একটা ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। জেলা, উপজেলা পর্যায়ে এক ধরনের কেন্দ্র নির্মাণে বহু নারী কিন্তু কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা আমাদের দেশেই যেখানে নিরাপদ নয় কর্মক্ষেত্রে, সেখানে বাইরে নারী শ্রমিক পাঠাচ্ছি। সেখানে কী অবস্থা হচ্ছে? কী বীভৎস অবস্থা! নারী শ্রমিক বিদেশে পাঠানো বন্ধ করা যায় না?’

এ বিভাগের আরো খবর