রাজধানীর এভারকেয়ার হসপিটালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি আহ্বান জানান।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। ওনাকে কেউ প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয় নাই। এ দেশের লক্ষ-কোটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে কোটি কোটি ভোটের ব্যবধানে তিনি এ দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। আজকে সেই প্রধানমন্ত্রী অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ধুঁকে ধুঁকে মরছেন। ওনার সুচিকিৎসা হচ্ছে না।’
প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা ওনার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসার কথা বলেছি, আমরা বিদেশে নেয়ার কথা বলেছি- আমরা অনুরোধ করেছি। কিন্তু চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা চিকিৎসা করতে দেবে না। আমি বলতে চাই, খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার আপনাকে নিতে হবে।’
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুরুতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থেকে চিকিৎসা নিলেও ২৭ এপ্রিল ভর্তি করা হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। খালেদা জিয়া করোনামুক্ত হন ৯ মে। কিন্তু বাসায় ফেরা হচ্ছে না তার। বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে, অন্যান্য শারীরিক জটিলতা থেকে জ্বর ওঠে খালেদা জিয়ার।
নিপুণ রায়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্যে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান। ছবি: নিউজবাংলা
বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে সংগঠনটির সদস্যসচিব ও বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সংগঠনের সদস্য মীর সরাফত আলী সপু; সঞ্চালনায় ছিলেন আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘নিপুণ রায়ের প্রতি যে অন্যায় তারা (সরকার) করেছে আমরা তার প্রতিবিধান চাই। আমি চাই যে, তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া হোক। সরকার তার রাজনৈতিক স্বার্থে না হয় অপরাধ করেছে, আমরা আশা করব, আদালত পবিত্র স্থান সেখানে অন্তত সে সুবিচার পাবে।
‘আমরা জানি যে নিপুণ রায় চৌধুরীর একটা ছোট মেয়ে আছে। সেই মেয়ের কাছ থেকে তার মাকে দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন করে রাখা-এটা খুব বিশাল অমানবিক রাজনীতি। তাকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে।’
শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকেরা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কর্মীরা, তারেক রহমানের ভাই এবং বোনেরা ভয় পায় না দাবি করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি ভাঙেও নাই, বিএনপি দুর্বলও হয় নাই।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা শিরিন সুলতানা, আজিজুল বারী হেলাল, আফরোজা আব্বাস, আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলসহ অনেকে।