আলেমদের সম্পদের হিসাব চাওয়ার আগে জাতীয় সংসদ সদস্যদের সম্পদের হিসাব নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার দুপুরে হজ ব্যবস্থাপনা বিল পাসের আগে সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আলেমদের আগে সাড়ে ৩০০ এমপির বিরুদ্ধে দুদক থেকে নোটিশ হওয়া উচিত ছিল।’
গত ৯ জুন কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ৪৪ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একটি গোয়েন্দা সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এসব ব্যক্তির ব্যাংকিং লেনদেনের তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বলা হয়।
হারুনুর রশীদ বলেন, ‘শীর্ষ প্রায় ৫৭ জন আলেমের বিরুদ্ধে দুদক নোটিশ করে সম্পদের হিসাব চেয়েছে। আমি তো মনে করি, আগে আমাদের এই সংসদে সাড়ে ৩০০ জন সদস্য যারা রয়েছি, সর্বপ্রথম এই সাড়ে ৩০০ এমপির বিরুদ্ধে দুদক থেকে নোটিশ হওয়া উচিত ছিল। তাহলে এটি সারা দেশের মানুষের কাছে সমাদৃত হতো। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ মানুষ গ্রহণ করত। প্রধানমন্ত্রী তো বলেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।’
বিএনপির এই সাংসদ বলেন, ‘সত্য কথা বললে স্বাভাবিক কারণে অনেকে বেজার হয়। সত্য কথাটা আসলেই কঠিন। আমরা আলেম কাকে বলব? আলেম-ওলামা তারাই যারা একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে কুরআন এবং হাদিসের আলোকে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা করেন। কোনো মসজিদের ইমাম কিন্তু আলেম নয়।
‘উদ্বেগের সঙ্গে বলছি। আমি যখন ছাত্রাবস্থায় ছিলাম, আমাদের যারা গুরুজন তারা আমাদের বলতেন এই বিষয়গুলোর প্রতি খুব সতর্ক থাকতে হবে। সমাজে যদি সত্যিকার অর্থে আলেম-ওলামারা ক্রিটিসাইজ হয়, সমালোচিত হয়, তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়। অবশ্যই আমি বলব, সমাজের উদ্বেগ এবং অস্থিরতা বাড়বে।’
এ সময় ওয়ান-ইলেভেনে রাজনীতিবিদদের রিমান্ডে নেয়ার পরে কথাগুলো স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, ‘রিমান্ডের পর যেসব খবর পত্রিকায় আসে, কীভাবে আসে? আমরা ১/১১-এর সময় দেখেছি আমাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে রিমান্ডে কী করা হয়েছে।’