বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আলেমরা নির্যাতিত, মুক্তি দিন: সংসদে বিএনপি

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২১ ১৩:৫৩

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে আলেমদের বিরুদ্ধে সরকারের ধরপাকড়ের বিষয়টি সংসদে তুলে ধরে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আলেমরা কিন্তু সাংঘাতিক নিপীড়নের মধ্যে আছে। যে সমস্ত আলেমরা রিমান্ড, গ্রেপ্তারের সম্মুখীন হয়েছেন আপনি তাদেরকে মুক্তি দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে আছেন, আপনি তাদেরকে মুক্তি দিন। তা না হলে দেশে উদ্বেগ এবং ভারসাম্যহীন অবস্থার তৈরি হবে।’

দেশে ইসলামিক আলেমরা ‘সাংঘাতিক’ নির্যাতনের মধ্যে আছে দাবি করে জাতীয় সংসদে তাদের মুক্তির দাবি করেছেন বিএনপির দুই সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানা।

জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার সকালে বাজেট অধিবেশনে ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিল ২০২১’ নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এই আহ্বান জানান।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে আলেমদের বিরুদ্ধে সরকারের ধরপাকড়ের বিষয়টি তুলে ধরে হারুনুর রশীদ সংসদকে বলেন, ‘আলেমরা কিন্তু সাংঘাতিক নিপীড়নের মধ্যে আছে। যে সমস্ত আলেমরা রিমান্ড, গ্রেপ্তারের সম্মুখীন হয়েছেন আপনি তাদেরকে মুক্তি দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে আছেন, আপনি তাদেরকে মুক্তি দিন। তা না হলে দেশে উদ্বেগ এবং ভারসাম্যহীন অবস্থার তৈরি হবে।’

ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই সাংসদ বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের ধর্মীয় তাফসীর বন্ধ করে দিয়েছেন। সংবিধানে বলা হচ্ছে কোনো বাধা দেয়া হবে না। কিন্তু গত চারদিন যাবত আমাদের একজন বিশিষ্ট আলেম মোহাম্মদ আদনান (আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানে) নিখোঁজ, তার পরিবার তার সন্ধান দাবি করছে।’

পরীমনি ইস্যুতে সরকার যেভাবে তৎপর হয়েছে নিখোঁজ আবু ত্ব-হার তেমন কিছু দেখা যায়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।

তিনি বলেন, ‘পরীমণির মামলা নেয়া হয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু সেই সৌভাগ্য হয়নি ত্ব-হার পরিবারের। সেই সৌভাগ্য হয়নি বাংলাদেশের ৬০৪টি পরিবারের, যারা দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। তাদের ব্যাপারে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু বলতে পারছে, না স্থানীয় পুলিশ স্টেশন কিছু বলতে পারছে, না সে ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সরকার যখন বলছে তারা পরকীয়া চলে গেছে, ঋণের বোঝা আছে, পারিবারিক কলহের জেরে চলে গেছে। তখন ২০১৯ সালের এপ্রিলে ফ্রান্স ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন এফআইডিএইচ বলছে গুমের এই ঘটনাগুলো বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এগুলো যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করে, তাদের সমন্বিত কৌশল ও কার্যকরের অংশ। এই ঘটনাগুলো নিয়মতান্ত্রিক ও রাষ্ট্রীয় নীতিমালার পরিপন্থী।

‘এফআইডিএইচ বলছে যেহেতু বেশির ভাগ ভুক্তভোগীকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে টার্গেট করা হয়, তাই কাজগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ। অর্থাৎ গুমকে তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ বলছে। সরকারের দায়িত্ব অভিযোগগুলো তদন্ত করা। তদন্তের ভিত্তিতে তারা কোথায় হারিয়ে গিয়েছে সেটা বের করা।’

যদিও বিএনপির দুই সংসদ সদস্যের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দুই সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চুন্নু ও পীর ফজলুর রহমান। আলেমদের গ্রেপ্তারের পেছনে তারা সম্প্রতি সময়ে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের কথা উল্লেখ করেন। ওয়াজ মাহফিলের নামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার কথা উল্লেখ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর