বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌকা পোড়খাওয়া রাজনীতিকের হাতেই

  •    
  • ১২ জুন, ২০২১ ১৯:৫৩

কুমিল্লা-৫ আসনে উপনির্বাচনে নৌকা পাওয়া আবুল হাশেম খান রাজনীতিতে জড়িয়েছেন পাকিস্তান আমলে। তৃণমূলের এই রাজনীতিক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও। তাকে নিয়ে আগে সেভাবে আলোচনা না থাকলেও কেন্দ্র মূল্যায়ন করেছে তার অভিজ্ঞতা আর দলের জন্য নিষ্ঠাকে।

আলোচনায় ছিলেন না, তবুও পেলেন নৌকার টিকিট। কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাশেম খান।

মনোনয়নে চমক থাকলেও পোড়খাওয়া এই রাজনীতিক পাঁচ দশক ধরেই বয়ে চলেছেন আওয়ামী লীগের পতাকা।

পাকিস্তান শাসনামলে আন্দোলন সংগ্রাম দিয়ে শুরু। ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনে অংশ নিয়ে হন গ্রেপ্তার। মুক্তিযুদ্ধেও লড়েছেন অস্ত্র হাতে।

১৯৭৬ সালে বুড়িচং ছাত্রলীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সালে হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিন বছর পরে হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

২০০৩ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। ২০১৮ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠন হলে তাকেই করা হয় আহ্বায়ক। পরের বছর কমিটি গঠন হলে আবার দায়িত্ব পান সভাপতির।

তিনি বুড়িচং উপজেলার উত্তরগ্রামের সন্তান। পেশায় আইনজীবী। জেলা আইনজীবী সমিতিতে একবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০০০ সালে কুমিল্লা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন হাশেম। ২০০৪-২০০৫ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৮-১৯ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

মনোনয়ন পাওয়ার আগে আলোচনায় না থাকলেও দলীয় প্রার্থীর প্রতি সমর্থন দিয়েছেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা। তবে নাখোশও হয়েছন তাদের সমর্থকদের কেউ কেউ।

মনোয়নন প্রত্যাশীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বপন। দল মনোনীত প্রার্থীর প্রতি সমর্থন দিয়ে তিনি লেখেন, ‘অ্যাড আবুল হাশেম খানকে নমিনেশন দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।’

মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে আলোচনায় ছিলেন আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু ছালেক মো. সেলিম রেজা সৌরভ।

সেলিম রেজা বলেন, ‘আমি দলের বাইরে নই। দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আমি অবিচল।’

কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহসম্পাদক এহতেশামুল হাসান ভূইয়া রুমি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য মনে করেছেন, তাকেই দলীয় প্রার্থী করেছেন। আমি দলীয় প্রার্থীর জন্য কাজ করব।’

মনোয়নের বিষয়ে আলোচনায় ছিলেন প্রয়াত সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরুর স্ত্রী সেলিমা সোবহান খসরুও। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলীয় নীতিনির্ধারকরা যাকে যোগ্য মনে করেছেন তাকেই নমিনেশন দিয়েছেন। আমার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই।’

আবুল হাশেম খানের নৌকা প্রতীক পাওয়ায় বুড়িচং বাজারে আনন্দ মিছিল করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন বুড়িচং উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম।

আবুল হাশেম খান নিউজবাংলাকে জানান, এই মনোয়নন তিনি উৎসর্গ করছেন বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়াবাসীকে।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও ফোনে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হলে বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়া থেকে প্রথমে মাদক দূর করব। এর পাশাপাশি দুই উপজেলা সদরের যানজট নিরসনে পরিকল্পনা নেব। এছাড়া দুই উপজেলাকে পৌরসভায় উন্নীত করতে বিশেষ পরিকল্পনা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর