সংসদ সদস্যকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া বৈধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন কক্সবাজারের চকরিয়ার সংসদ সদস্য জাফর আলম। উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার একদিন পর তিনি এই প্রতিক্রিয়ায় দেন। সেইসঙ্গে ছয়টি দাবি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে যাবেন বলেও জানান তিনি।
চকরিয়া পৌর নির্বাচনে দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলা ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফরকে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। সেই ঘোষণা দেয়া বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশও পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করেন জাফর। তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের অব্যাহতির আদেশ অবৈধ। একজন দলীয় সাংসদকে কমিটি থেকে অব্যাহতি দেয়া এখতিয়ার বহির্ভূত। এই ক্ষমতা জেলা আওয়ামী লীগের নেই।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগ দূর্নীতিবাজ ও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি। এদের কাছে থেকে সুবিচার আশা করা যায় না। এজন্য তিনি ছয়টি দাবি নিয়ে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাবেন।
দাবিগুলোর মধ্যে আছে, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন, অব্যাহতির আদেশ প্রত্যাহার, পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটে জেলা আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপ ও দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনা।
দাবির মধ্যে আরও আছে জেলা হোটেল মোটেল জোনে মেয়র মুজিবুর রহমানের দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও নানা অপকর্ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
জাফর আলম জানান, এসব দাবি নিয়ে তিনি রোববার ঢাকা যাবেন।
জেলা আওয়ামী লীগ থেকে জাফরকে অব্যাহতি দেয়ার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সরওয়ার আলমকে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থক ও নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এবং চকরিয়া ও পেকুয়ার বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করে।
পরে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।