দলীয় প্রচারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের তাগিদ এসেছে আওয়ামী লীগের এক সভায়।
শুক্রবার দুপুরে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে কেন্দ্রীয় দপ্তর ও উপ-দপ্তর সম্পাদকের সঙ্গে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার দপ্তর ও সহ-দপ্তর সম্পাদকদের এক সভায় এ তাগিদ দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর বিভাগ থেকে ধাপে ধাপে ৮টি বিভাগের জেলাগুলোর দপ্তর ও সহ-দপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে ক্রমান্বয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় দলীয় কাজের ব্যবস্থাপনায় তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
সভা শেষে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সংসদের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান জানান, সভায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইনে প্রচার-প্রচারণার কৌশল নির্ধারণ নিয়ে কথা হয়।
‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৃণমূল পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিতের পাশাপাশি দলীয় প্রচার-প্রচারণায় উদ্বুদ্ধ করার বিষয়টি আলোচনা হয়। এছাড়াও গুজবের বিরুদ্ধে মানুষকে কীভাবে সচেতন করা যায় এবং বিরোধী শিবিরের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কীভাবে পাল্টা জবাব নির্ধারণ করা যায়—তা তুলে ধরা হয়।’
সভায় রাজশাহী বিভাগে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে নেতাদেরকে আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘সংগঠনে দপ্তর বিভাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদকীয় বিভাগ। দপ্তর বিভাগ সচল থাকলে সংগঠনে প্রাণশক্তির সঞ্চার হয়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি বছর বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন।
‘জননেত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী ব্যবস্থাপনার কারণেই করোনার সময়েও বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।’