করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ টিকা দিতে সময় লাগবে ১০ বছর।
জাতীয় সংসদে সোমবার চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘টিকা কোথা থেকে কীভাবে আসবে সে ব্যাপারে কেবল আশার বাণী শুনতে পাচ্ছি। নিশ্চিতভাবে কবে কোথা থেকে আসবে সেই তথ্য পাচ্ছি না। সরকারের এই বিষয়টি স্পষ্ট করা প্রয়োজন।’
জিএম কাদের বলেন, উন্নত বিশ্ব নাগরিকদের টিকার আওতায় এনে সবকিছু ধীরে ধীরে খুলে দিচ্ছে। এতে অনেক উন্নত দেশ এগিয়ে গেছে। অনেক অনুন্নত দেশও তা করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার টিকা প্রদানে যে পরিকল্পনার কথা বলেছে তাতে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে এক ডোজ টিকা দিতে পাঁচ বছর লাগবে। দুই ডোজ দিতে ১০ বছর লাগবে। এই পরিকল্পনায় ১০ বছরে দেশের অর্থনীতির কী হবে তা বুঝতে পারছি না।’
স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ অপ্রতুল দাবি করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সব দেশে স্বাস্থ্য খাতে বেশি বরাদ্দ দিয়ে থাকে। করোনায় সবাই উদ্বিগ্ন ও বিপর্যস্ত। এই সময় স্বাস্থ্য খাতে বেশি বরাদ্দ দরকার। কিন্তু আমাদের এখানে বরাদ্দ খুবই কম।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি স্বাস্থ্য খাতে কমপক্ষে জিডিপির ২ শতাংশ বরাদ্দ দরকার। স্বাস্থ্য খাত শক্তিশালী হলে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণ হলে আমাদের অর্থনীতি চাঙা হবে।’
জাপার চেয়ারম্যান বলেন, বাধা ছাড়াই হয়তো সম্পূরক বাজেট অনুমোদন হবে। বাজেটে কম বা বেশি খরচকে অস্বাভাবিক বলতে হবে।
বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, খরচ বৃদ্ধির প্রস্তাব হলে সেখানে দুর্নীতি রয়েছে কি না বা বাজেট যারা প্রণয়ন করেছেন তাদের ত্রুটি ছিল কি না, সেটা দেখা দরকার। আর এর জন্য দায়ীদের জবাবদিহির মধ্যে আনা উচিত।
‘অপরদিকে পরিকল্পিতভাবে খরচ কমানোকে মিতব্যয়ী বলতে পারি। কিন্তু খরচ করতে না পারাকে অদক্ষতা বলতে হবে।’