বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়: কাদের

  •    
  • ৭ জুন, ২০২১ ১২:৫৫

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোকে ইঙ্গিত করে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতাকে অস্বীকার করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ব্যাপারে তাদের আস্থার অভাব রয়েছে। তারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী হলে ৭ মার্চ, ৭ জুন এ দিবসগুলোর প্রতি তাদের শ্রদ্ধা থাকতো এবং এ দিবসগুলো তারা পালন করতো।’

স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস নেই বলেই ৭ মার্চ বা ৭ জুনের মতো ঐতিহাসিক দিবসগুলো বিএনপি ও সমমনা দলগুলো পালন করে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে সোমবার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতাকে অস্বীকার করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ব্যাপারে তাদের আস্থার অভাব রয়েছে।

‘তারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী হলে ৭ মার্চ, ৭ জুন এ দিবসগুলোর প্রতি তাদের শ্রদ্ধা থাকতো এবং এ দিবসগুলো তারা পালন করতো।’

বরাবরের মতো এবারও যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ছয় দফা দিবস পালন করছে আওয়ামী লীগ। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এ বছর ছয় দফা দিবসে বাড়তি কোনো কর্মসূচি ছিল না দলটির।

সকালে সূর্যোদয়ের পর পরই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি। এরপর সকাল ৯টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমন্ডলীয় সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাহজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজমসহ আরও অনেকে।

সত্তরের নির্বাচনের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা নির্বাচন বয়কট করেছে অথচ সত্তর সালে বঙ্গবন্ধুর লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কের আন্ডারে কিন্তু ইলেকশন করেছিল। একটা শর্ত ছিল লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক, এতে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল। অনেকেই বলেছিল, এই নির্বাচন করে কী হবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু জানতেন, নির্বাচনই একমাত্র পথ স্বাধীনতার।

‘নির্বাচন করার পরই বঙ্গবন্ধু যে ম্যান্ডেট পেয়েছিলেন সেটাই তাকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কাজেই এ কথাটা সত্য, আজকে যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না তারাই নির্বাচন বয়কট করে।’

বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে যে কয়েকটি আন্দোলন স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম হলো ছিষট্টির ছয় দফা আন্দোলন। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির মধ্যে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের যে বীজ বুনেছিল, তারই বহিঃপ্রকাশ ছিল বঙ্গবন্ধুর এই ছয় দফা। একে বলা হয় বাঙালির মুক্তির সনদ।

এবার সেই ছয় দফা আন্দোলনের ৫৫তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে।

১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে পাকিস্তানের পূর্ব ও পশ্চিম অংশের সব বিরোধী দলকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলনে অংশ নেন তৎকালীন পূর্ব বাংলার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই সম্মেলনে পূর্ব বাংলায় পাকিস্তানি আগ্রাসন ও শোষণ রুখতে তিনি ঘোষণা করেন ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি।

১১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু ঢাকা ফিরে এসে দেশব্যাপী শুরু করেন ছয় দফার পক্ষে প্রচারাভিযান। বাংলার আনাচকানাচে সফর করে তুলে ধরেন দাবির যৌক্তিকতা। তার এই দাবির পক্ষে সে সময় সারা দেশে ব্যাপক জনমত গড়ে ওঠে।

এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৭ জুন দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেয় বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ। হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় পাকিস্তান জান্তা সরকারের পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর। এতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে শহীদ হন মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন।

এ হত্যাকাণ্ডের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ফুঁসে ওঠে বাংলার জনগণ। স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন। পরবর্তী সময়ে আন্দোলন রূপ নেয় তীব্র গণ-আন্দোলনে। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয় এই গণ-আন্দোলনেরই ফসল।

ছয় দফার সেই আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের ৭ জুন পালিত হয়ে আসছে ছয় দফা দিবস হিসেবে।

এ বিভাগের আরো খবর