বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছয় দফা দিবসে জমায়েত নয়: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৬ জুন, ২০২১ ২১:১৪

সরকার প্রধান যেদিন বাণী দিয়েছেন, সেদিন করোনাভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউন আরও ১০ দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এতে সব ধরনের জমায়েত এমনকি জন্মদিনের মতো আয়োজনেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেদিন বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত ছয় দফা পেশ করেন, সেই দিনটির স্মরণে এবারের আয়োজন ভার্চুয়ালি করার অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঐতিহাসিক দিবসটির আগের দিন রোববার এক বাণীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা এই আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক পরে, গণজমায়েত না করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঐতিহাসিক ৭ জুনের সকল কর্মসূচি পালন করবেন।’

সরকার প্রধান যেদিন বাণী দিয়েছেন, সেদিন করোনা ভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউন আরও ১০ দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এতে সব ধরনের জমায়েত এমনকি জন্মদিনের মতো আয়োজনেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে ছয় দফার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ জুন এক অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়।

‘বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা আদায়ের লক্ষ্যে এ দিন আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, আবুল হোসেন, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহিদ হন। আজকের এই দিনে আমি ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।’

৭ জুনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর বলেও জানান সরকার প্রধান। বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে কাজ করছি।’

গত ১২ বছরে আমরা দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করার দাবি করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করেছি। প্রায় শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। ভূমিহীন-গৃহহীনদের আমরা বিনামূল্যে গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছি।’

যেভাবে এল ছয় দফা

বঙ্গবন্ধু কীভাবে ছয় দফা প্রস্তাব করলেন, সেই বিষয়টিও তুলে ধরেন জাতির জনকের কন্যা। বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি নবাবজাদা নসরুল্লাহ খান-এর নেতৃত্বে লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা বিরোধীদলীয় এক জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করলে জাতির পিতা ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সেখানে ঐতিহাসিক ৬-দফা প্রস্তাব পেশ করেন। প্রস্তাব গৃহীত হয় না।

‘পূর্ব বাংলার ফরিদ আহমদও প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম পাকিস্তানের কয়েকটি পত্রিকা এ দাবি সম্পর্কে উল্লেখ করে বলে যে পাকিস্তানের দুটি অংশ বিচ্ছিন্ন করার জন্যই ৬ দফা আনা হয়েছে।

‘১০ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাংবাদ সম্মেলন করে এর জবাব দেন। ১১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে তিনি ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন। বাংলার জনমানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ৬ দফার প্রতি সমর্থন জানায়। ৬ দফা হয়ে উঠে দেশের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ।’

তিনি বলেন, ‘৬ দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার ৬ দফার রূপকার বঙ্গবন্ধুকে ৮ মে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। কিন্তু ৬ দফা বাঙালির প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়।

‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৬ দফার প্রতি বাঙালির অকুণ্ঠ সমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। জাতির পিতার ২৩ বছরের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে আমরা ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বছরব্যাপী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী-মুজিববর্ষ সীমিত পরিসরে উদযাপন করে আসছিলাম। এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ যুগপৎভাবে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আমরা ১৭ মার্চ হতে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে সফলভাবে উদযাপন করেছি।”

এ বিভাগের আরো খবর