হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও এখনই তার বাড়ি ফেরা অনিশ্চিত। এ নিয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, তিনি কবে বাড়ি ফিরবেন তা চিকিৎসকেরা জানেন। আর চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি জানাবেন মহাসচিব।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে খালেদা জিয়া হাসপাতালে অবস্থানের ৪০ দিন পূর্ণ হলো রোববার। গত ২৭ এপ্রিল রাতে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যদের বাইরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার হাসপাতালে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করতে যান। আর কেউ যান না। দলের নেতাদের মধ্যে মহাসচিবকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিকিৎসকেরা তার শারীরিক অবস্থার আপডেট জানান। তিনি পরবর্তী সময়ে অন্যদের সেই বিষয়টি অবহিত করেন।’
বিএনপি নেতারা বলছেন, বেগম জিয়ার অবস্থা আগের থেকে স্থিতিশীল। তিনি ভালো আছেন।
তবে তিনি বাড়ি কবে ফিরছেন, এ নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারছেন না তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুনেছি, তিনি আগের তুলনায় ভালো আছেন। তবে ওনার পুরোনো যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো নিয়ে ভাবছেন।
‘আর এ নিয়ে ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা জানেন। তারা দলে শুধু মহাসচিবকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানান। মহাসচিবের থেকে আমরা বাকিরা জানতে পারি।’
এদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার পোস্ট কোভিড যে জটিলতা ছিল, সেগুলোর উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তার অন্যান্য রোগ আগের মতোই আছে। ফলে আরও কিছুদিন তাকে হাসপাতালেই থাকতে হবে। আগামী কয়েক দিন তাকে পর্যবেক্ষণের পর ‘বিপদমুক্ত’ মনে হলেই হাসপাতাল থেকে ছাড় (রিলিজ) দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ম্যাডামের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। মহাসচিব ব্রিফ করবেন। আই অ্যাম স্যরি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল বোর্ডের অন্য একজন চিকিৎসক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই সপ্তাহে বাড়ি ফিরছেন না, এইটুকু বলা যাচ্ছে। পরের সপ্তাহে কতটুক সম্ভাবনা আছে বলা যাচ্ছে না। করোনামুক্ত হলেও তার বেশ কিছু জটিলতা আছে পূর্বের। আমরা সবাই পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে ৩ মে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে গত ৩ জুন তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।