বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের ব্যর্থতা নিয়ে সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন বক্তব্যের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বলেছেন, ‘এই সংগঠনগুলো কী করেছে? আপনারা কী পরিমাণ আন্দোলন, মিছিল করেছেন?’
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সহযোগীরা আন্দোলন-সংগ্রামের কথা বলছেন। কিন্তু নিজ এলাকায় খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য, জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে বা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আপনারা কী পরিমাণ আন্দোলন, মিছিল করেছেন? কাউকে তো মানা করা হয়নি।
‘উপদেশ দেয়া বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ রুদ্ধ করা হলে গণবিপ্লব হয়। তবে বিএনপি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথেই এগোবে।’
বিভিন্ন মহলে জিয়াউর রহমানকে ছোট করা হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নিজেরা বড় না হয়ে যিনি বড় তাকে ছোট করা হচ্ছে। জিয়াউর রহমানের পাশে বসতে পেরে খেতাবই সম্মানিত হয়েছে। তিনি নিজ বীরত্বের জন্য খেতাব অর্জন করেছেন। তা বাতিল করতে পারে না।’
খালেদা জিয়াকে বিনা দোষে বন্দি রাখা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে যেতে দিচ্ছে না। এটা অমানবিকতা।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘বিএনপি গণতন্ত্র হত্যাকারী দল’- এমন বক্তব্যের সমালোচনাও করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যা করা হয় সংবিধান বাতিল করে সামরিক শাসন জারি করলে বা সব দল বাতিল করে একদলীয় শাসন কায়েম করলে।
‘আওয়ামী লীগই একদলীয় শাসন কায়েম করে গণতন্ত্র হত্যা করে। বিএনপি কোনো দিন একদলীয় শাসন, বাকশাল বা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেনি।’
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও শ্রমিক দলের সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার।