বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আড়াইশ টাকার পণ্য আড়াই হাজারে, সংসদে প্রশ্ন রুমিনের

  •    
  • ৬ জুন, ২০২১ ১৮:২৮

‘আমরা দেখেছি, অকল্পনীয় দামে বালিশ, পর্দা, কাঁটাচামচ কিনতে। এখন দেখা যাচ্ছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ২৫০ টাকার বিশেষ সুঁই ২৫০০ টাকায় কেনা হচ্ছে।’

সরকারি কেনাকাটায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।

রোববার জাতীয় সংসদে বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলনার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন।

রুমিন বলেন, ‘আমরা দেখেছি, অকল্পনীয় দামে বালিশ, পর্দা, কাঁটাচামচ কিনতে। এখন দেখা যাচ্ছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ২৫০ টাকার বিশেষ সুঁই ২৫০০ টাকায় কেনা হচ্ছে।’

চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ টাকা খরচ করতে না পারায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বরাদ্দ বাড়লেও বিগত ১০ বছরের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতের এডিপি বাস্তবায়ন এ বছরই সবচেয়ে কম। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বাজেটের মাত্র ২৫ শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।

‘করোনায় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অথচ তারা বরাদ্দকৃত অর্থ খরচে অদক্ষতা দেখিয়েছে।’

বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘গত বছরও করোনার মধ্যে বাজেট দেয়া হয়েছিল। কিন্তু স্বাস্থ্যখাতে আমরা ন্যূনতম বরাদ্দ দেখতে পাইনি। যেটা নিয়ে স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রীও হতাশা প্রকাশ করেছেন। আজকে আমাদেরকে এমন অবহেলার মাশুল দিতে হচ্ছে।’

রুমিন বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে মোট ১৫ শতাংশ এবং জিডিপির কমপক্ষে ৫ শতাংশ হওয়া উচিত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে কম বরাদ্দ বাংলাদেশে।

প্রধানমন্ত্রী বারবার নির্দেশনা দেয়ার পরেও দেশের ৪২টি জেলায় সরকারি পর্যায়ে আইসিইউ নেই কেন- এই প্রশ্নও রাখেন রুহিম। বলেন, ‘চিকিৎসা সেবা এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। ব্যক্তি খাতের ব্যয় কমার বদলে ৬৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ শতাংশ। এর ফলে স্বাস্থ্য ব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতিবছর প্রায় ৬৬ লাখ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে যায়।’

টিকা নিয়ে অব্যবস্থাপনার সমালোচনা

টিকা নিয়ে অব্যবস্থাপনার অভিযোগও তুলে ধরেন রুমিন। তিনি বলেন, ‘মহামারির শুরু থেকেই টিকা ব্যবস্থা নিয়ে আমরা নয়-ছয় দেখেছি। সেরাম ইনস্টিটিউটের ৬ মাসে তিন কোটি ডোজ দেয়ার কথা থাকলেও এবং সেই বাবদ মূল্য পরিশোধ করার পরেও টিকা আসে মাত্র ৭০ লাখ পিস।

‘আর বেক্সিমকো এরমধ্যেই লাভ করে নিয়েছে ৩৮ কোটি টাকা। নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষায় চাপের কারণেই সরকার বিকল্প পথে যেতে পারেনি।’

এটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি যখন একথা বলেন, সেটা নিয়ে আর সন্দেহের কোনও অবকাশ থাকে না।’

‘টিকা বিক্রি করে এক ক্ষমতাশালী ব্যক্তির লাভের কারণে রাষ্ট্রের নাগরিকদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে’-এমন কথাও বলেন রুমিন।

এ বিভাগের আরো খবর