বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাজেট সর্বমহলে প্রশংসিত: ওবায়দুল কাদের

  •    
  • ৪ জুন, ২০২১ ১৬:২০

‘এই বাজেটটি করা হয়েছে করোনা প্যানডেমিকের মধ্যে জীবন এবং জীবিকার বিষয়টি মাথায় রেখে বাস্তবভিক্তিক, সময়োপযোগী, ব্যবসাবান্ধব, বিনিয়োগবান্ধব এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দিয়ে। সময়োপযোগী সংকটকালে একটা বাস্তবমুখী বাজেট। ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহল এই বাজেটের প্রশংসা করেছে।’

করোনা মহামারির সংকটকালে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তার যে বাজেট দেয়া হয়েছে, তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সেই সঙ্গে বিএনপি বাজেট নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, তার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘বাজেটের এই দিনে তারা পূর্ণিমার ঝলমলে আলোতে অমাবস্যার অন্ধকার দেখছে।’

শুক্রবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংকটকালে সামাজিক সুরক্ষা, জীবন ও জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়ে, সর্বস্তরের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী বাড়িয়ে এই বাজেটটি করা হয়েছে।’

বাজেট ঘোষণার পরদিন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় এই অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহামারি সংকটকালে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে জীবন ও জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়ে সর্বস্তরের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী বাড়িয়ে এই বাজেটটি করা হয়েছে।

‘এই বাজেটটি করা হয়েছে করোনা প্যানডেমিকের মধ্যে জীবন এবং জীবিকার বিষয়টি মাথায় রেখে বাস্তবভিক্তিক, সময়োপযোগী, ব্যবসাবান্ধব, বিনিয়োগবান্ধব এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দিয়ে। সময়োপযোগী সংকটকালে একটা বাস্তবমুখী বাজেট। ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহল এই বাজেটের প্রশংসা করেছে।’

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাজেটের এই দিনে তারা পূর্ণিমার ঝলমলে আলোতে অমাবস্যার অন্ধকার দেখছে।’

তিনি বলেন, ‘তারা আজকে আবোল-তাবোল বকছে। তাদের বাজেট বক্তৃতা অন্ধ বিদ্বেষপ্রসূত। কথামালার চাতুরী হচ্ছে বিএনপির বাজেট বক্তব্য। তারা ভালো কিছু চোখে দেখে না। দিনের আলোতে তারা অন্ধকার দেখে। এটা হচ্ছে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি। তাদের দল কখনও ভালো কিছু দেখে না। চোখ থাকতেও তারা হাওয়া ভবনের কালো চশমা পরে থাকে।’

উপনির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দৌড় বেড়েছে

বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না শুনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দৌড় বেড়ে গেছে বলে অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘এবার মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক প্রার্থীর সংখ্যা অনেক। খুব একটা অসুবিধা নেই, এই কথা মনে করে অনেকেই আবার প্রার্থী হচ্ছেন। পায় আর না পায়, প্রার্থী হতে চায়।

‘কারণ বিএনপি নেই শুনেছে। সে জন্য প্রার্থিতার দৌড়ও বেড়ে গেছে। নেত্রীর সঙ্গে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়নি। সাধারণ একটি গাইডলাইন তিনি দিয়েছেন। সেটা হলো, আমি ত্যাগী ও পরীক্ষিত কাউকে মনোনয়ন দেব। যারা জনগণের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য এবং দুঃসময়ে ছিলেন- এমন একটি ধারণা তিনি আমাকে দিয়েছেন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখানে গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকবে। দলীয়ভাবেও রিপোর্ট নেয়া হচ্ছে। নেত্রীরও নিজস্ব একটি টিম আছে। সেই টিম দিয়ে তিনি মাঠপর্যায়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। আশা করি, আমরা যথাযথ ব্যক্তিকে মনোনয়নটা দিতে পারব।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যেসব সাংগঠনিক শাখার সম্মেলন হয়েছে, নিয়মিত কমিটি রয়েছে, সেগুলোতে সদস্য সংগ্রহ বই দেয়া শুরু করব। কারণ করোনা কবে শেষ হবে কেউ জানে না। আমাদের এর সঙ্গে বসবাস করতে হবে। এর মধ্যে বাঁচতে শিখতে হবে। আমাদের সংগঠনও চালিয়ে যেতে হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলব।’

ঢাকা ইঞ্জিন সচল করতে হবে

ঢাকায় দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়েও নাখোশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, ‘ঢাকা শহর হলো পার্টির ইঞ্জিন। ইঞ্জিন যদি না চলে, বগি চলবে? একে সচল করতে হবে। এটাই আওয়ামী লীগের প্রাণ।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা সিটির অসংখ্য কমিটি দুজনের। অসংখ্য কর্মী কাজ করেন। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরলে স্ত্রী ও মা-বাবা জিজ্ঞেস করলে পরিচয় বলতে পারে না। পরিচয় তারা আওয়ামী লীগ করে। অথচ পদ পড়ে আছে, কিন্তু দেয়ার কেউ নাই। যারা এই পরিচয় দেয়া থেকে বঞ্চিত করছেন, তারা সংগঠনকে বঞ্চিত করছেন।’

তিনি বলেন, ‘কর্মী না বলে এখানে বলা যায় আওয়ামী লীগে নেতা কমে গেছে। কারণ পরিচয় নাই তো। এই ঢাকা মহানগর উত্তরে ১৩০০-১৫০০ ইউনিট কমিটি রয়েছে। এখানে শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে থাকলে হবে না। নেতা না হলে নেতৃত্ব দেবে কেমনে। নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে কর্মীদের থেকে।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।

এ বিভাগের আরো খবর