বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিহিংসায় সরকার খালেদাকে বিদেশ যেতে দেয়নি: ফখরুল

  •    
  • ১ জুন, ২০২১ ২১:৩১

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়া হাসপাতালে এখনও অসুস্থ অবস্থায় আছেন। এই সরকার কত বড় প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং তাদের যে পায়ের নিচে মাটি নেই। আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ডাক্তাররা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, বাইরে নিয়ে যাও। তারা (সরকার) বাইরে যেতে দিচ্ছে না।’

প্রতিহিংসার কারণেই সরকার উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া হাসপাতালে এখনও অসুস্থ অবস্থায় আছেন। এই সরকার কত বড় প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং তাদের যে পায়ের নিচে মাটি নেই। আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ডাক্তাররা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, বাইরে নিয়ে যাও। তারা (সরকার) বাইরে যেতে দিচ্ছে না।

‘এটা হচ্ছে তাদের দুবর্লতা, তাদের রাজনীতির যে দেউলিয়াপনা এবং জনগণ থেকে যে বিচ্ছন্নতা, এটা তারই প্রমাণ। এই সরকার সম্পূর্ণভাবে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা দুর্নীতিপরায়ণ জনগণের ওপর অত্যাচারী একটা সরকারে পরিণত হয়েছে; ফ্যাসিবাদী সরকারে পরিণত হয়েছে।’

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুরুতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থেকে চিকিৎসা নিলেও ২৭ এপ্রিল ভর্তি করা হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। খালেদা জিয়া করোনামুক্ত হন ৯ মে।

এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে।

করোনা থেকে সেরে উঠলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে আবেদন করে পরিবার। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শরণাপন্ন হয় বিএনপি ও খালেদার স্বজনেরা। কিন্তু সরকার থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, আইন অনুযায়ী খালেদাকে বিদেশ যেতে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

খালেদা জিয়ার বিভিন্ন অবদান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদতের পরে সবাই ভেবেছিল যে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে, বিএনপিকে আর দেখা যাবে না। কারণ আসল নেতাই চলে গেছেন। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি একজন গৃহবধূ ছিলেন তিনি পতাকাকে তু্লে ধরছেন। কিসের পতাকা? স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পতাকা, গণতন্ত্রের পতাকা যেটাকে ধারণ করে এ দেশের মানুষ বেঁচে আছে।

‘তার যে মূলমন্ত্র, তার যে আত্মা, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, সেই আত্মা হচ্ছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের আকাঙ্ক্ষা। সেই আত্মা হচ্ছে গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা। দীর্ঘ ৯ বছর পতাকাকে তুলে ধরে স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করেছেন। আমি তো মনে করি, এই দেশে জীবিত আছেন যেসব রাজনীতিবিদ, তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মহীয়সী নেত্রী হচ্ছেন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার অবদান আমি মনে করি কারো চেয়ে খাটো নয়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন কারাগারে। উনি কারাগারে বলেই গণতন্ত্র এখন কারাগারে, গণতন্ত্র বন্দি হয়ে আছে। আমাদের অসংখ্য নেতা প্রাণ হারিয়েছেন, গুম হয়ে গেছেন, আমাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা, ৩৫ লাখ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা। তারপরে কিন্তু বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বিএনপি আছে, চলছে এবং অত্যন্ত সোচ্চার হয়েই আছে।’

নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কখনো পিছু ফিরে তাকাবেন না। আর কখনও এ কথা মনে করবেন না যে, আমরা পারব না। আমরাই পারব এবং অবশ্যই ইনশা আল্লাহ আমরা জয়ী হব।

‘যে দানব আমাদের অধিকার হরণ করে নিয়েছে, যে দানব শুধু লুণ্ঠনের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেই দানবকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থেই জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সরকার আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে আন্দোলন, আন্দোলন এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।'

এ বিভাগের আরো খবর