নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কাদের মির্জার অনুসারী ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন। তবে কাদের মির্জার দাবি, তার ১০-১২ জন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শনিবার রাত ৮টার দিকে কাদের মির্জা ও বাদলের অনুসারীদের মধ্যে বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হড়ান্নাগো বাড়ির সামনের সড়কে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজ, জিসান, মো. সানি, চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেন সুমন, চরকাঁকড়া ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার দিদারসহ ছয়জন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে ও বসুরহাট পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা তার পক্ষে মিছিল বের করেন।
বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিছিল করতে গেলে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে বাদলের অনুসারীরা গুলি ছুড়লে কাদের মির্জার অনুসারীরাও পাল্টা জবাব দেন। গুলিতে কাদের মির্জার অনুসারী ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন। তবে প্রতিপক্ষ বাদলের অনুসারী কারও আহত হওয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, ‘বাদল, রাহাত, মন্জুর নির্দেশে সন্ত্রাসী রাহিম, শাকিল, রাজিব, রিয়াদ, আলা উদ্দিন, আরমান, দিদার, রাফেল ২০-২৫টি হোন্ডা নিয়ে বসুরহাট পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডে অতর্কিতে গুলিবর্ষণ করে। তাদের গুলিতে আমাদের ১০-১২ জন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।’ ওসি জাহেদুল হক রনির উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধরা কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
তিনি আরও জানান, গুলিবিদ্ধ পাঁচজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। গুরুতর আহত একজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।