আওয়ামী লীগ সরকারকে সিন্দাবাদের দৈত্য উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘এই দৈত্য সরকার ঘাড় থেকে না নামলে আমি আপনি কেউ বাঁচব না।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি বড় ধরনের কোনো সংকট থাকে, তা হলো এমন সরকারের হাতে কুক্ষিগত ক্ষমতা। এর থেকে বড় কোনো সংকট দেশে নেই।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে লেবার পার্টি আয়োজিত ‘রাজনৈতিক সংকট: উত্তরণ কোন পথে’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
করোনার টিকা প্রসঙ্গে মান্না বলেন, ‘সবাই বলছে যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য। আমরা কেবল ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিন নিতে চেয়েছিলাম। এখন তাদের এমন ভয়াবহ অবস্থা যে তারা মরদেহ নদীতে ফেলে দিচ্ছে। এখন ভ্যাকসিন কোথায় পাবেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত থেকে আমরা ভ্যাকসিন নিয়েছিলাম পাঁচ ডলার করে। এখন দেখলাম চীন থেকে দেড় কোটি ভ্যাকসিন আনা হচ্ছে প্রতিটির মূল্য ১০ ডলার করে। যেটা অন্য দেশ কিনছে দুই ডলার দিয়ে, সেটা আমি কিনছি ১০ ডলার দিয়ে। এখানে কত টাকা ক্ষতি হচ্ছে? এটা কে ঠিক করবে? ক্ষমতায় যদি “চোর বাটপার” থাকে তাহলে ভালো কাজ কে করবে?’
তিনি বলেন, ‘জনগণ চায় এমন কোনো সরকার আসুক যে সরকার তাদের এই দাবি মেনে নেবেন। শেখ মুজিবুর রহমানের মতো এত বড় নেতা যিনি জনগণের কাছে অঙ্গীকার করেছিলেন, তিনি কি সেই অঙ্গীকার রাখতে পেয়েছিলেন। যিনি সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন, তিনি তো বাকশাল করেই মারা গেলেন। বাকশালে কি কোনো গণতন্ত্র ছিল? তো কার কথা বিশ্বাস করবেন।
‘আমি কিন্তু বলতে পারি, আমি যদি ক্ষমতায় যাই, আপনারা যেগুলো যেগুলো চাচ্ছেন সেগুলো করার চেষ্টা করব। আমার কাছে যদি অঙ্গীকার চান আমি দেব। যদি বলেন আদালতের সামনে গিয়ে বলতে আমি সেটাও পারব, কিন্তু এই অঙ্গীকার কে দেবে। কাকে বিশ্বাস করবেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘কালকে শুনলাম বেগম খালেদা জিয়া জ্বরে আক্রান্ত। তিনি এতটাই অসুস্থ তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠালে কী হতো? এই সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাবে না। তারা (সরকার) খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতেও ভয় পায়।’
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান ড. নুরুল আমীন বেপারী, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরসহ অনেকে।